ক্রিং ক্রিং। " ওরে মা তমা, দ্যাখ তো বাইরে সাইকেলের আওয়াজ হচ্ছে। কে আসলো?" " হ্যাঁ মা, দেখছি।" আপনার নামে একটা চিঠি এসেছে। " চিঠি, আমার নামে।" " আমার নামে চিঠি কে পাঠালো" ? "কি রে মা তমা, কে এসেছে " মা পিওনের চিঠি এসেছে। "মা, আমাকে এককাপ চা করে দেবে । আমি পড়ার ঘরে আছি। " পড়ার ঘরে চিঠি খুলেই দেখলো অনির চিঠি। চিঠিটা না খুলেই না পড়েই সঙ্গে সঙ্গে অনিকে ফোন। " অনি, কি ব্যাপার, তোমার চিঠি! " "হুম্ ডার্লিং, অবাক হচ্ছো তো। এটাকে বলে সারপ্রাইজ।" "না মানে, ফোন বা মেসেজ .... ।" "ফোন বা মেসেজ করলেও হয়ে যেত কিন্তু এই সারপ্রাইজ টা তো দেওয়া হতো না। চিঠিটা খোলো, দ্যাখো, ওতে সারপ্রাইজের ঠিকানা লেখা আছে। ঠিক আছে, ডার্লিং, এখন রাখি। " " হ্যাঁ রাখো, আমি দেখছি। " তমালিকা চিঠিটা খুলল। আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি, ভালোবাসার দিন। তুমি ঠিক সন্ধ্যে সাতটায় পুবালি স্ট্রিটের চার রাস্তার মোড়ের ওই কফি হাউসটায় আসবে। ইতি তোমার অনি। "বলো, হঠাৎ করে এমন আমন্ত্রণ । আজ তোমাকে ভীষণ খুশি লাগছে। আমার আর তর সইছে না অনি, তাড়াতাড়ি বলো না। " "চোখ বন্ধ করো, আমি যতক্ষণ না চোখ খুলতে বলবো ততক্ষণ তুমি চোখ খুলবে না।" "উফ্ আর পারছি না। আবার সারপ্রাইজ।" অনির দুই হাত আগেই পিছনে রেখেছিল। অনি ধীরে ধীরে লাল খামে মোড়া একটি চিঠি তমালিকার সামনে রাখলো। "এবার চোখ খোলো"। " অনি তোমার জয়েনিং লেটার এসে গেছে। " " হ্যাঁ তমালিকা, আমাদের দুজনের কেউ একজন এটাই তো চেয়েছিলাম। গড়ে উঠুক আমাদের একটা নতুন ঠিকানা। আমাদের ভালোবাসার ঠিকানা। তোমাকে বুকে আগলে রাখার ঠিকানা। আমি চাকরি পেয়ে গেছি। আজ এই ভালোবাসার লাল দিনে তোমাকে সারপ্রাইজ দেবো বলে লাল খামে মুড়ে এই খুশির খবর আমাদের স্মৃতি হয়ে থাকবে বলেই এই আয়োজন।" অনি আর তমালিকা হাতে হাত ধরে দুজনেই আনন্দাশ্রুতে ভাসলো।
-------------------------------------------------------------------