আরণ্যক বসুর সাথে সাক্ষাৎকার : তপন মাইতি


 

একটা কথা বিশেষ ভাবে মনে পড়ছে। সৌভাগ্য বশত আপনার সাথে সাক্ষাৎ হয়ে বড় সমৃদ্ধ হলাম। কিছু যদি না মনে করেন একটা কথা জিজ্ঞেস করতে পারি মহাশয়?আপনার নাম তো পরিচয় বসু। তবে কেন লেখায় আরণ্যক বসু নিলেন?

-খুব ভাল প্রশ্ন। এত মানুষের সাথে সাক্ষাৎ হয়েছে। এই প্রশ্নটা প্রথম শুনলাম। ছোটো বেলায় বিভুতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'আরণ্যক' উপন্যাস পড়ে আমার বেশ ভালো লাগে।বেশ মনেও ধরে। তখন থেকে মনে মনে স্বপ্ন স্থির হয়ে যায়। আমি লিখব।তখন থেকে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় লেখা দিই।তখন নিজের অর্থাৎ বাবা মায়ের নাম দিতে কেমন লাগত।তাই আরণ্যক নামটা দিই।তারপর একের পর এক যখন বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশ হতে লাগল। তখন মনের মধ্যে একটা বিশেষ অনুভূতি লাগল। তারপর আরণ্যক নামটার সাথে পরিচয় হতে থাকে। 

-অনেকেই তো আপনার নাম আরণ্যক বসু বলে জানে।

:অনেকে আরণ্যক বসুর সাথে পরিচয় বসুর পরিচয় হলে বুঝতে পারবে।এটাই স্বাভাবিক যারা আমার লেখা ছড়া কবিতা উপন্যাস নাটক পড়েছে দেখেছে তারা তো সেখানে আরণ্যক বলেই জানেন। 

-শুধু এই কারণে আরণ্যক নাম?নাকি অন্য কোন ইতিহাস আছে?

:ইতিহাস বলতে তেমন কিছু নেই। তবে ছোটবেলা থেকে সবুজ রঙটি বড় প্রিয় আমার। আর অরণ্যে ঘুরতে ভালোবাসি।

-ভালোবাসার কথা বলতে একটা কথা মনে পড়ে গেল।আপনি এত বড় মানুষ?তবুও আমাদের মতো সাধারণ মানুষের ডাকে অতি সহজে সাড়া দেন?

:অপ্রস্তুত হয়ে বললেন। বড় মানুষ কিনা সেটা মানুষ বলবে।মানুষের দুঃখ দুর্দশা দেখে আমি থাকতে পারি না।আমি আরাম কেদারায় বসে মেহনতি মানুষের গল্প লেখার বান্দা আমি নই। ইয়াশের সময় সুন্দরবন যেভাবে ভেসে গিয়েছিল তার উপর পেনডামিক সিচুয়েশন। উফ!সে কি মর্মান্তিক বন্যা!চোখের জল মুছতে মুছতে বলল এই মানুষগুলোর পাশে দাঁড়াই তারপর লেখা যাবে। 

-আন্তরিক ধন্যবাদ মহাশয়। আপনার অমূল্য সময় আমাদের সাথে কাটালেন।আজীবন মনে থাকবে।

:অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাদের মত মানুষদের সান্নিধ্য পেয়ে সমৃদ্ধ হলাম। 

Post a Comment

Previous Post Next Post