18 91 সালের 14 ই এপ্রিল রামজি মালজি সাকপল ও ভীমা বাই এর কোল জুড়ে যে সন্তান জন্মগ্রহণ করেছিলেন তিনিই ভারতীয় সংবিধানের রচয়িতার রূপকার ভীমরাও রামজি আম্বেদকর। ভীমরাও রামজি আম্বেদকর সারাজীবন ব্যাপি দলিত ও নারীদের উন্নয়নের সামাজিক ন্যায় বিচার করতেন। তিনি এক সময় হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করিয়া বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণ করিয়াছিলেন। তিনি ঈশ্বরে বিশ্বাসী ছিলেন না। তাঁর একমাত্র লক্ষ ছিল সকল মানুষ সমান। মানুষের মধ্যে যেন কোন ভেদাভেদ না থাকে। মানুষকে ভালোবাসাই শ্রেষ্ঠ । তিনি কখনোও মিথ্যা কথা বলতেন না , চুরি করতেন না , তার শ্রেষ্ঠ বাণী ছিল ক্রিত দাস হয়ে একশত বছর বাঁচার চাইতে সংগ্রামী হয়ে একদিন বাঁচাও ভালো। বাবা সাহেব নারী মুক্তির অগ্রদূত ছিলেন। বিশ্বের মহান ব্যক্তিদের মধ্যে আম্বেদকর ছিলেন এমন একজন তিনি বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ডিগ্রিধারী এবং icon হিসেবে চিহ্নিত। ভারতের প্রথম ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন। নারী শিক্ষার পিছনে আম্বেদকরের অভূতপূর্ব অবদান ছিলেন।সেই কারণেই বাহ্মনদের অত্যাচার বঞ্চনার ও বহু শিকার হয়েছিলেন। দলিত ও নারীদের দূদ্দর্শা দেখে তার প্রাণ কেঁদে উঠেছিলেন। সমাজের অবহেলিত পদ দলিত নিপীড়িত পিছিয়ে পড়া অনুন্নত সম্প্রদায় সামাজিক ও রাজনৈতিক ধর্মীয় সাংস্কৃতিক অধিকার আদায়ের চেষ্টা করেছিলেন। দলিতদের স্বার্থে তিনি ইন্ডিপেন্ডেন্ট লেবার পার্টি নামে একটি সংগঠিত গড়ে তোলে। দলিতদের শিক্ষার প্রসারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন। ভারতের স্বাধীনতা লাভের পর ড. আম্বেদকর ভারতের সংবিধান রচনা করে তিনি সাংবিধানিক ভাবে দলিতদের স্বার্থ রক্ষার বিভিন্ন ব্যাবস্থা করেছিলেন।1956 সালে 6ই ডিসেম্বর বিশ্বের বাতি নিভিয়ে দিয়ে চির নিদ্রায় শায়িত হন।আমরা প্রার্থনা করবো বাবা সাহেব আম্বেদকর আমাদের যে জ্ঞানের আলো দিয়ে গেছে বিশ্বের প্রতি ঘরে ঘরে প্রতিটি মায়ের গর্ভে যেন বিশ্ব জ্ঞানিরত্ন আম্বেদকর জন্মগ্রহণ করেন।।
Tags:
বাংলা প্রবন্ধ