গোপালপুর ভ্রমণ :: জুঁই চক্রবর্তী


আমার ভ্রমণ লেখা গোপালপুর। সমুদ্রকে কে না ভালোবাসে। আমার সমুদ্র হলো প্রান। তাই আর দেরি না করে হাসব্যান্ড ও মাকে নিয়ে গোপালপুর রওনা দিলাম। কলকাতা থেকে সরাসরি চেন্নাই মেলে। তারপর সেখান থেকে অটোতে তিন কিলোমিটার বাসস্ট্যান্ড। মোটামুটি ১৬কিমি দূরে গোপালপুর। তা আমাদের গেস্ট হাউস বুকিং করা ছিল। দারুন সুন্দর জায়গা। তবে পুরীর সমুদ্র উত্তাল নয়। এখানে ঢেউ শান্ত। সমুদ্রের স্নান করার জন্য নিদ্দিষ্ট জায়গা আছে। তাছাড়া সমুদ দেখতে গেলাম। অটো করে গেলাম। তপ্ত পানি। রম্ভা। তারাতারিণী কথা বলে নি। তপ্ত পানি হলো গরম জলের কুন্ড। মূল কুন্ডে দেবী কাঁদিমাতার অবস্থান।

ঘন ঘন গাছ। কাছে দূরে গম্ভীর পাহাড়।

এরপর হলো রম্ভা। পাহাড় অরণ্যে ঘেরা নির্জন মনোরম প্রকৃতি রম্ভা। তবে পর্যটকদের কাছে এসে সেভাবে পৌঁছায়নি। আবার একটি শুনলাম লঞ্চে করে বিভিন্ন দ্বীপে চলে যাওয়া যায়।

এরপর গেলাম তারাতারিণী মন্দির। ঘনো সবুজ পাহাড়। আর নিচ দিয়ে বয়ে চলেছে ঋষি কুল্য নদী। প্রায় হাজার খানেক সিঁড়ি টপকে মন্দিরে উঠতে হতো। তবে রোপ উয়ে ব্যবস্থা হয়েছে বলে অনেকটা সুবিধা। আমরা রোপ ওয়ে করে গেছিলাম। উঠে দেখলাম মায়ের মন্দির। দোকানপাট। বট গাছ। আর অশংখ্য হনুমান। কামনা বাসনার জন্য অনেকে সুতো বাঁধছে। আবার কেউ হনুমান দের ভুট্টা জিনিস ছোলা দিচ্ছে।এরপরে আর একটা সুন্দর জায়গা দেখলাম সেটা হলো দারিংবাড়ি।ওখানে গিয়ে শুনলাম এক কালে বরফ পড়তো এখন আর বরফ পরে না। তবে চারিদিকে সবুজের সমারোহ। এখানে আদিবাসিরা ক্রিষ্ট ধর্মে দীক্ষিত।

তবে খুব ভালো লেগেছে আমার গোপাল পুর। না গেলে কেউ বুঝতে পারবে না কি সুন্দর জায়গা  

Post a Comment

Previous Post Next Post