শরীরের মেরুকরণ-বিন্দু থাকে বলেই পুরুষ নারীর শরীর পরস্পরের বিপরীত। একজনের যে অংশাবলী উন্নত অপর জনের তাই অবনত।। সেজন্য আকর্ষণ। পুরুষ মানে কেবল পুরুষ যৌনাঙ্গ অথবা স্ত্রী মানে কেবল যোনি প্রদেশ নয়। পুরুষ শরীরের উন্নত যা, তা হলো ধনাত্মক আর অবনত যে অংশাবলী তা হলো ঋণাত্মক। অনুরূপ টা নারীর ক্ষেত্রেও। আসল কথা ধনাত্মক আর ঋণাত্মক শক্তির আকর্ষণ। ধনাত্মক প্রবিষ্ঠ হয় ঋণাত্মকতায়। বৈপরীত্যতা আকর্ষণের মূলে এ তো অসীম সত্য।
এই উন্নত( ধনাত্মক ) অবনত ( ঋণাত্মক ) হওয়ার বিস্তার মানসিক স্তরেও হয়। তাই কেউ বহির্মুখী কেউ অন্তর্মুখী। নারীর কমনীয় মন। পুরুষের সাহসী প্রকাশমান মনন। অথবা এমনও হয় - কোনো নারীর ( শরীরগত ভাবে নারীর ) পুরুষের মতো সাহসী বহির্মুখী মন অথবা কোনো পুরুষের ( শরীর গত ভাবে পুরুষের ) নারীর মতো সহনশীল স্নেহশীল মাতৃসুলভ কমনীয়তা। এও তো ভীষণভাবে আমাদের নজরে আসে।
অথচ এই অন্তর্মনের বৈপরীত্যের প্রতি আমরা সহনশীলতা দেখাতে শিখিনা বলে ; শরীরের ঊর্ধ্বে মানসিক সংযোগে জাত সম্পর্কগুলো ধৈর্য্য সহ লালন পালনে আমাদের অনীহা আসে। যা বিচার বোধে কুলোয় না তাকে তো তাচ্ছিল্য করে দূরে তাড়িয়ে দেওয়াটা পরিবারের সমাজকাঠামোর জন্য ' ভালো '!! - এই ' আমি সব জানি ' অহং এ কত কিছু যে জীবনের না জানার তালিকাভুক্ত হয়ে থেকে যায় তার হিসেব তোলা থাক।
অথচ গতানুগতিক জীবন দর্শনে আমরা নারী শক্তি পুরুষ শক্তির এই ধনাত্মক ঋণাত্মকতা নিয়ে জানতে শিখলে,আধ্যাত্ম চেতনা থেকে সহনশীলতার পাঠের সাথে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা র ঊর্ধ্বে জীবন দর্শনের পাঠ নিতে জানলে, অন্য মানুষ কে 'শরীর দেখে বিচার করার মূর্খতা ' ছাড়তে পারলে নারী পুরুষের হিংসাত্মক সম্পর্কের অবসান হয়ে মানুষের প্রতি সহনশীল তৃতীয় নেত্রের সুবিচারের আলোর আশীর্বাদ বর্ষিত হবে। যা সহজে বোঝা কঠিন তারসাথে তো দূরতা আসেই। ভালোবাসা সহজে শিক্ষার পাঠ দেয়। তাই খুব চাতুরী পূর্ণ হিংসক পন্ডিতি বরং থাক, মনগুলো একটু বুদ্ধের মতো সুবিশাল হোক - পৃথিবী সবার আশ্রয়ের শান্তির স্থান হোক। পৃথিবী আরোগ্যের স্পর্শ পাবে।।