ওই জানো! কেনো জানিনা সব সময় তোমার সাথে কাটানো, সেই দিনগুলোর কথা খুব মনে পড়ে, আর ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে তাকিয়েই সেইসব দিনগুলোর কথা ভাবতে থাকি, আর আমার না ভাবতেও খুব ভালো লাগে, মনটাও বেশ আনন্দে আত্মহারা হয়ে যায়, কিন্তু যখনই বাস্তবে ফিরে আসি তখনি মন টা যেন উদাস হয়ে যায়, আর বুকের ভেতর কেমন যেন একটা ঝড় বয়ে যায়, তখন আমার হৃদয় অঝোর ধারায় কাঁদতে থাকে, কিন্তু জানো আজ আর আমার চোখ দিয়ে কোনো জল ঝরে না। আর যখন ভাবনায় থাকি তখন তোমায় পেয়ে খুশিতে আমার মন ভরে ওঠে, তখন যেনো বর্তমানের বাস্তবটা ভুলে গিয়ে তোমায় প্রথম কাছে পাওয়ার সেই মুহুর্তটা মনে পড়ে। তুমি সেই ব্লু রং এর জামাটা পড়ে প্রথম এসেছিলে আমার সাথে দেখা করতে, সারা মুখে চাপ দারিতে ভর্তি, সেই অবাক করা আকর্ষিত করা চাউনি, যেন আমাকে পাগল করে দিয়েছিল। কেনো জানিনা আমার মন তোমার প্রতি দুর্বল হয়ে গিয়েছিল। সেইদিনই আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে আমি তোমাকে খুব ভালোবেসে ফেলেছি। তাই তোমার কাছে আমার মন প্রান দিয়ে দিয়েছি, আজ ৩ বছর তোমার সাথে কাটানো দিন গুলো সত্ত্যিই খুব মনে পড়ছে, আমার কাছে রেখে যাওয়া তোমার স্মৃতি তোমার সন্ত্রান, নিয়ে আমি কত খুশিতে আছি। এই বলে গীতা দেওয়ালে টানানো অনুপের ছবির সামনে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কান্না করছে, আর গীতার দুই চোখ দিয়ে অঝরে জল ঝরছে। গীতার বয়সই বা কত ১৯ বৎসর হবে, জীবনের কি বা দেখেছে? তারই মাঝে বছর দুই এর একটি কন্যা সন্তানের চাপ, ওই টুকু মেয়ে কি ভাবেই বা মেনে নিতে পারে বিরহ যন্ত্রনা? হটাৎ করে এইভাবে অনুপের অনুপস্থিতি কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না। গীতা দিন রাত শুধু কান্নাকাটি করে মেয়েটা, দেখতে দেখতে আঠারো মাস হয়ে গেলো অনুপ নিখোঁজ, এর মধ্যেই গীতার মেয়ের কান্নার শব্দে গীতা ছুটে ঘরে চলে যায়।
Tags:
বাংলা গল্প

