আমরা নয় সখী হঠাৎ ঠিক করলাম যে কোন এক ছুটির দিন দেখে " টাকি" যাবো। যেমন ভাবা তেমন কাজ আমরা রবিবারের সকালে বেড়িয়ে পড়লাম একটা গাড়ি ভাড়া করে। সকাল ছয়টায় গাড়ি এসে দাঁড়ায় আমাদের ক্লাবের সামনে। আমরা সবাই এক এক করে গাড়িতে উঠে বসলাম। সাড়ে ছয়টায় গাড়ি রওনা দেয়। আমরা খুব মজা করতে করতে যাই। গাড়িতেই আমরা জলখাবার খাই। নয়জন আলাদা আলাদা খাবার নিয়ে গেছিল। পাউরুটি, মাখন, ডিম সেদ্ধ, কলা, কমলা, কেক, জয়নগরের মোয়া, সোনপাঁপড়ি, কালাকান্দ, নলেনগুড়ের সন্দেশ, পিঠে, গাজরের হালুয়া আর কফি। সব খেতে খেতে আমরা সাড়ে নটার সময় টাকিতে পৌছালাম। আমাদের একবেলার জন্য গঙ্গার ধারে " সুহাসিনী " হোটেলে রুম বুক করা ছিল। আমরা ফ্রেস হয়ে দুটো টোটো ভাড়া করে পুরো টাকি ঘুরলাম। টাকির হাই স্কুল, কলেজ, কুলেশ্বরী মন্দির, পটেশ্বরী মন্দির, মিনি সুন্দর বন, রাজবাড়ী সব ঘুরে হোটেলে এলাম বেলা দুটোর সময়। আমার সব থেকে ভালো লেগেছে মিনি সুন্দর বনের " রিভার সাইড " আসার পথে খুব ভালো পাটালি আর নলেন ঝোলা গুড় কিনে আনলাম আমরা সবাই। হোটেলে এসে হাত মুখ ধুয়ে মধ্যাহ্ন ভোজের জন্য ডাইনিং হলে এলাম। সবাই খেতে বসলাম। প্রথমে ভাত দিল তারপর ডাল আলু ফুলকপির তরকারি আলু ভাজা পনীর মাছ পাবার মাংস পাঁপড় চাটনি রসগোল্লা। চমৎকার রান্না। চমৎকার ব্যবহার। আমরা রুমে গিয়ে সবাই গোল হয়ে বসে জমিয়ে আড্ডা দিলাম। তারপর বিকেল সাড়ে চারটের সময় গঙ্গার পাড়ে গিয়ে একটা নৌকা ভাড়া করে আমরা সবাই নৌকা ভ্রমন করলাম এক ঘন্টা। তারপর ওখান থেকে একটু সবাই মিলে গামছা কিনলাম। ওখানকার গামছা খুব বিখ্যাত। সবাই চার/পাঁচটা করে কিনে হোটেলে এসে কফি খেলাম। তারপর সাড়ে ছটার সময় গাড়ি তে উঠে নিমকি, চানাচুর, কেক, মিষ্টি খেতে বাড়ি এসে পৌছালাম রাত নটা। দারুন মজা কর এলাম। আমার মনের মণিকোঠায় স্মৃতি হয়ে রয়ে গেছে।
Tags:
ভ্রমণ কথা
