শেষক্ষেপণ : রশ্মিতা দাস


 

অগ্নিকুণ্ড হয় লেলিহান

ক্ষুধার্ত আগুনে,

কীটের ন্যায়ে দাহের ত্রাসে

ডঙ্কা বাজে প্রাণে.

হায় নিস্তার!মাথা কুটিবার

আকূল ভাষা খুৃঁজে,

বীরুৎ লতা মনের পরশ

প্রতিটি অস্হিখাঁজে.

তীর্থের ক্রোশ যায় মিলায়ে

আঁধার মনের কাছে,

হাজার সিঁড়ি তুচ্ছ যে হয়

পাপের আগুন আঁচে.

জ্বালাময়ী ভয়াল দাহের

পরিত্রাণের লাগি,

আসে উদ্বেগ,ললাটেতে ভাঁজ,

হৃদয় বড়ো বেবাগী...

দুহাত পেতে স্বর্গলাভের 

চিন্তা হয় বিলাসী,

মরণের পরে আত্মাশুদ্ধি

আশ হয় অভিলাষী.

কত কল্পনা,কত ছবি তার,

কত না গল্পকথা,

জীবনের খেয়া হয় পারাপার,

অলীক সূতোয় গাঁথা.

বন্ধ দুচোখ জাগাও আজি

মনের চোখে দেখো,

ইহজন্মেই নরকের দাহ

আর স্বর্গের সাঁকো.

পাপের আগুনে হয় পুড়ে খাঁক

মৃত্যুপথযাত্রী,

অন্তিম শয়নের শয্যাতে

বিবেক করাল রাত্রী.

জীবনের কালো দলে দলে আসে

ভীড় করে,নাড়ে কড়া,

ঝলসায় পাপ নির্মম দাহে

বিবেকে রক্তধারা...

শুভ্র আত্মা ফুলের রেণুতে

ছুঁয়ে যায় মাটি বাতাস,

পুণ্য শরীর,পুণ্য জনম

আর শেষ নিঃশ্বাস.

স্বর্গ ইহাই,নরক ইহাই

গড়ন জীবন ছাঁচে,

গল্প-ছবি অস্তরবি

শেষক্ষেপণের কাছে।

Post a Comment

Previous Post Next Post