অস্পষ্ট ছায়ার বেড়াজালে : পংকজ পাল




অস্পষ্ট ছায়ার বেড়াজালে সারাদিন 

যাঁর প্রতিক্ষায় আমি বহুকাল ধরে, 

তাঁর অস্তিত্বের উপস্থিতি বুঝতে পারি  

বাতাস এলে তালপাতা যখন নড়ে। 


সে আসে সকাল সন্ধ্যা রাত দুপুরে 

বৃক্ষের শাখায় বসে ডাকে আয়রে আয়,

কুয়াশার আবরণে মিশে থাকে সারাদিন

রোদের ছটা পেলে নিমিষেই হারায়। 


মনবিহঙ্গ নাচা নাচি করে সারাক্ষণ 

বেলাভূমির শ্বেত বালিতে তাঁর ছায়া,

ক্ষণিকের অনুভূতির দর্শনে হারিয়ে যায়

মৃদু হিল্লোলে রেখে যায় শুধু মায়া। 


ধবল গাঙচিলের ছদ্মাবরণে এসে বলে

আমার ডানায় লিখো তোমার সব কথা,

সাদা পা-ল-কে লিখলাম বলা হয়নি যাহা

বৃষ্টির জলে ধুয়ে মনেতে দিলো ব্যাথা। 


নিস্তব্ধতার মাঝে অচেনা সেই সুর

নগ্ন পাতার ডালে দু'হাত তুলে ডাকে,

নীল আকাশে দেখি তাঁর আবছা ছায়া 

অতিথি পাখি উড়ে যায় ঝাঁকে ঝাঁকে। 


তাঁর অনূভুতির স্পর্শে হৃদয় দোলে

চলে গিয়ে ভেঙ্গে দেয় মন,

তবুও তাঁর আশায় চেয়ে থাকি সারাক্ষণ 

হিসেব কষি আসবে ফিরে আবার কখন। 


এসেছিল রঙিন প্রজাপতির ডানায় চড়ে

তবুও এতটুকু চিনতে পারিনি তাঁরে,

এ ফুলে...ও ফুলে নৃত্য করলো সারাদিন

এতোকাল ধরে আমি খুঁজলাম যাঁরে। 


প্রতিদিন তাঁর আরাধনায় থাকি আমি

মোড়ানো চাদর ফেলে হবে দৃশ্যমান,

তাঁর প্রেমের পরশে হয়ে যাবো একাকার

আমার অস্তিত্বে মিশে আছে সেই মহান!

Post a Comment

Previous Post Next Post