বিশ্বাস মানুষকে চেতনা দেয়, সত্যি -
বাস্তবের অভিযানে আমরা শূণ্য হাতে ফিরি।
কল্পনায় রামধনু অঙ্কন করে বাতাসে মিলিয়ে দিয়ে আবার -
রক্তিম আনন্দে আঙ্গিনার মাটিতে নিঃশ্বাস নিই।
কেন? বিশ্বাস নেই! কেন আনন্দ আসে না, বাস্তবে চেতনার অভাব নেই ; বিশ্বাসের অভাব।
সঙ্ঘবদ্ধ জোটবদ্ধ হিংসার দাবানলে
উড়ন্ত প্রজাপতির ভাঙ্গা ডানায় ভর করে
প্রস্ফুটিত জবাকুসুমের ছায়ার মন্ত্রে
দীক্ষা নিতে আমরা যেতে চাই না-
আক্ষেপ করে আছে প্রজন্মের মুখচ্ছবি।
দীক্ষা দাও জীবনের, আনন্দের- মন্ত্রের।
আমরা সবাই জীবনের সাথী, আমরা মহাভারতের সত্যভামা, সারথী আমাদের-
ইস্পিত শরৎ সন্ধ্যার আগমনে হে প্রপিতামহ
জাগিয়ে দাও আমাদের চেতনাকে
নিষ্ক্রমণ যেন না হয়, প্রণাম মহাপ্রভু।
ধর্মের উত্তাপকে রশ্মিকনার মতো উজ্জ্বল করো।
অধরা হাতে অস্পষ্ট বাস্তবকে আধিপত্যের সীমানা দেখিয়ে-
ধ্বংস করো। মনের জটিলতাকে।
চরিতামৃতের অমৃত সুধা বিশাল ব্রহ্মাণ্ডে।
ছিন্ন তরুর মায়া পাত্রে পঞ্চতন্ত্রের পুজো
বাস্তুশাস্ত্রের বত্রিশ বন্ধন জুড়ে আছে সঞ্চয়।
তুমি রামায়ণের রাম অবতার, মনুষ্য তোমার বাস্তব।
বিশ্বত্রাসের ভয় থাকে ইতিহাসের অন্ধ পৃষ্ঠায়
কোমল হাতের উষ্ণিব উত্তাপ জিইয়ে রাখে পরবর্তী অধ্যায়ে।
গোপনে লোমশ হাতে পালটে দিলে মানচিত্র।
হতে পারতো আরেক নতুন ইতিহাস।
বিবর্তন - ক্রমবর্ধমান, আদিপর্বে শাসন।
নিলজ্জ প্রান্তরে শুনে না কেউ তোমার আব্বান।
রূপায়নের সংঘর্ষ আর নির্মাণ
ওলট পালট হয় জীবনের গড়ন।
পুরাণের সাতকাহনে নিবন্ধ মালার রূপকথা
আমাদের জয় আমাদের মহাভারত।
রূপকথা নয়, বাস্তবে মিলবে রাজকন্যা
সোনালী সন্ধ্যায় সপ্তপুরীর কঙ্কন পরে।
