জীবনের অপূরণীয় বাসনাগুলো স্বপ্নে ধরা দেয়
খুশিতে ডগমগ মন নেচে ওঠে, স্বপ্ন বড্ড আপন।
কখনো কখনো অতিবাহিত সুমিষ্ট সময়গুলোও এসে পড়ে স্বপ্নের আঙিনায়
জেগে ওঠে স্বপ্নে স্মৃতিমালা হয়ে বারবার।
পদ্মার পাড় বরাবর বর্ষাকালীন চৌকো ফুটবল মাঠ
গোল গোল ঘোরে স্বপ্নের আবর্তনে,
কতো সোরগোল উত্তেজনা এক ফাইনাল ম্যাচ ঘিরে।
দ্বিতীয়ার্ধে উত্তেজিত সমর্থকদের উচ্চ নিনাদ--
প্রদীপ, প্রাণ লড়িয়ে দে, জান লড়িয়ে দে
যাক জান থাক মান, ভুলিস নে যেন,
জিততেই হবে এই ম্যাচ, তুই-ই ভরসা।
চিকান্ত আর টানতে পারছে না!
সেমি-ফাইনাল চিকান্ত উতরিয়েছে, এবার তোর পালা।
দাপিয়ে বেড়াচ্ছি পূরো মাঠ আমি একা, চিকান্ত বিধ্বস্ত
দর্শকের হাততালি আর উৎসাহে আমি উদ্দীপ্ত,
নেই কোন মন-তুষ্টি না জেতা পর্যন্ত।
এ কেবল স্বপ্ন নয়,
এ যেন পুরোনো খুশি ফিরে পাওয়া স্বপ্নের বেশে,
আরো কতশত কথা ভেসে বেড়ায় স্বপ্নের দেশে।
যদিও, ম্যাচের পরিনতি ধরতে পারেনি সেই স্বপ্ন!
এক সঙ্গে খেলা সেই বন্ধুগুলো, জানি না কে কোথায় কেমন আছে।
জীবন গড়ার তরে আমি সেই জীবন থেকে বহু বহু দূরে!
স্বপ্নেরা বড্ড আপন, কোন কোন রাত করে তোলে সব রঙে রঙিন--
কখনো পদ্মার পাড় বরাবর হেঁটে চলা
বন্ধু মিলে মনের শতশত কথা বলা
কখনো নদীতে অনিয়ন্ত্রিত সাঁতার কাটা
হৈ হুল্লোড়, গামছা দিয়ে মাছ ধরা
কখনো বাঁশঝাড়ে ঝাপাঝাপি ঝগড়াঝাঁটি
কখনো স্কুলের সরস্বতী পূজো
কখনো আমাদের খৈলানে শিবপূজো সরস্বতী পূজো
কখনো তুচ্ছ বিষয়ে মন কষাকষি, মারামারি
দল ভাগ করে প্রতিযোগিতা ছোড়াছুড়ি।
খুব প্রিয় সেই স্বপ্নগুলো, মধুর সময়গুলোকে যে ফিরিয়ে ফিরিয়ে দেয়
সাজিয়ে গুছিয়ে মনের মতো করে
উপভোগ করি পরতে পরতে।
