তুমি কি পাচ্ছো শুনতে
তুমি কি মা দেখতে পাও?
পঞ্চমী,ষষ্ঠী,সপ্তমী,অষ্টমী
নবমী,থেকে দশমীতে,ফের চলে যাও।
আসার বেলায় ভুবন হাসে
তোমায় নিয়ে মত্ত,
মা বলতেই অজ্ঞান সবে
সব সন্তান তোমার ভক্ত।
শোন মা তোমায় দুটো কথা বলি
তুমি তো সবার মা,
নব্বই শতাংশ সন্তানের কেন
এতো কঠিন যন্ত্রণা।
তারাও তোমায় মা বলে ডাকে
তারাও বাসে ভালো,
তাদেরও ঘরে তোমার আরাধনা হয়
জ্বলে প্রদীপের আলো।
তুমি কি মা দ্বিচারিতা করো
বলো না কি দোষের সাজা দাও?
নাকি তোমার এটাই খেলা
কাউকে হাসাও কাউকে কাঁদাও।
তোমার তো সবাই সন্তান মা গো
এটা তোমায় স্বীকার করতে হবে,
তবে কেন ওরা এত দুঃখে কষ্টে
লাঞ্ছনায় ওরা দিন কাটাবে।
মাগো একটু দয়া করো না মা
বোঝা ওদের ভীষণ কষ্ট,
ওরা অবুঝ, তবুও তো তোমার সন্তান মা
কেন তুমি ওদের উপর রুষ্ট?
ওরাও তো সুখের স্বপ্ন দেখে
মানুষের মত বাঁচতে চায়,
দুবেলা দুমুঠো ভাত না পেয়ে
কতো অপুষ্টিতে মারা যায়।
ওদের তো সংসার সন্তান আছে
শিক্ষা দীক্ষা দিতে চায়,
স্কুলে পড়ার বয়স যাদের, তারা
পেটের জ্বালায় কাজে যায়।
স্কুলে পড়া চুলোয় গিয়েছে
গেটে বেচে ঝাল মুড়ি,
তোমার পূজায় ওরা বেচবে বেলুন
কালীপূজায় ফুলঝুরি।
সারাটা বছর পেটের দায়ে
সুখ আহ্লাদ জলাঞ্জলি,
মাগো আমি তোমার কাছে
শোনো তাদের কথা বলি,
মাগো কত আশা তোমায় নিয়ে
তুমি অন্নপূর্ণা মা,
দীন-দরিদ্রের অশ্রু ধারা
তোমার আঁচলে মুছাতে পারো না।
তোমার কাছে মিনতি মাগো
দুঃস্থদের কৃপা করো,
ওদের দুঃখ কষ্ট মুছিয়ে
বুকে জড়িয়ে ধরো।
যদি কোন ভুল করে থাকি তবে
আমাকে সাজা দিও,
এ ভুবনে সব তোমার সন্তান মা গো
তাদের সুখ দুখের ভার নিও।
তোমার আসার আগমনে
কেউ হাসে কেউ কাঁদে,
কারো কপালে মাংস পোলাও
কেউ হেঁসেলে কাঁদে।
দুঃখ যদিও দাও মা তুমি
সহ্য ক্ষমতা দিও,
রাতুল চরণে প্রণাম তোমায়
তোমার সকল সন্তানই অদ্বিতীয়।
