জোর বৃষ্টি পড়ছে, এরকম আবহাওয়ায় খিচুড়ি ডিম ভাজা হলে মন্দ হতো না। ভাবতে ভাবতেই ডাইনিং রুম থেকে দীপার ডাক ভেসে এলো, "কি করছো ডিনার রেডি, চলে এসো"। উঠতেই যাচ্ছিলাম তারপর মনে পড়লো, কাল রাতেই নমিতার ব্যপারটা জানার পর দীপা খুব ঝামেলা করছিল! আর তখনই রাগের মাথায় ওর গলাটা টিপে ধরি। একটু পরই মেয়েটা নিস্তেজ হয়ে যায়, আর চিৎকার করছিল না। তারপরই পিছনের বাগানে ওকে পুঁতে দিয়েছিলাম। আমাদের এই পুরনো আমলের বাড়ির চারপাশে কোনো বাড়ি নেই, তাই কেউ দেখতেও পায়নি। কিন্তু এ আবার কি হলো! আমি কি ভুল শুনলাম! হঠাৎ করেই বেডরুমের দরজায় দেখলাম দীপা দাঁড়িয়ে আছে , মুখে একগাল হাসি "চলো খেয়ে নেবে তারপর তোমাকে নিয়ে যাবো" বলে ধীরে ধীরে আমার দিকে এগিয়ে এলো! "আমাকে ছেড়ে দাও ক্ষমা করো" বলতে বলতেই চোখে অন্ধকার দেখলাম! বেশ কিছুক্ষন পর জ্ঞান এলো আমার। পুরো ব্যপারটা দুঃস্বপ্ন ভেবে উঠে পড়তে গিয়ে দেখলাম , আমার পাশেই আর একটা আমি পড়ে আছে, মুখটা হা করা চোখ বিস্ফারিত! দীপা প্রতিশোধ নিয়েই ছাড়লো!!