ধর্ষিতা শিশুটা, মুখ লুকায় মায়ের আঁচলে ,
প্রতিবাদীরা নিঃস্ব বিচারে,মাথা নত ধনীর পদতলে ।
নির্দোষ অবুঝ কাঁদে, সত্য বিচারের আশে!
বুদ্ধিজীবীরা ভাষা হারায়, দাঁড়ায় না পাশে।
নিজ বিচারে মৃত্যুবরণ,
পাপী অট্রহাসি হাসে।
বাবা-মা করে আস্ফালন,চোখের জলে ভাসে।
হাহাকার করে স্বজন সম্বন্ধ, হুঙ্কার ছাড়ে ত্রাসে ।
সঙ্গীরা জড়সড়, কাঁপে ভয়ে,
দুশ্চিন্তায় কাতরে মরে, পুতুলগুলো অসহায় চেয়ে।
বিচার পেলো না কিছুতে,মৃত্যুর আগে ও পরে, শান্তি পেল না চিতাতে।
নোংরা কুৎসা রটনা,
মরমে মরেছিল লজ্জায় ,সেই ধিক্কার, ভৎসর্না।
সোহাগ ভরে একলা ঘরে, অপরূপা রাজকন্যা , রূপের ডালি কাল ঘটলো ,সর্বনিপুণা ছোট্ট রাজন্যা ।
ফুল তুলতে গেল বাগানে ,ঘরের পাশে ভয় কিসের?
ছিল ফাঁদ শয়তানের অতি সন্তপর্নে,
কত চিৎকার জ্বালা যন্ত্রণা ,শেষে মৃত্যুর অপেক্ষা।
খুঁজে পেল, তারা আধমরা অনন্যা ,
বুক ফুলিয়ে দাঁড়িয়ে দোষী ,পেন্নাম করে যারে দুবেলা!
সকলে দেখে তারে, ত্রাসে রোষী ।
দাঁড়িয়ে দোষী সম্মুখে ,সকলে ভ্যাবাচ্যাকা,
শেষে জনগণ যাকে মাথায় রাখে !
সমাজ যায় রসাতলে, শোনে না বিত্তবাবু বৃত্তান্ত ।
কেঁদে মরে আপনজন, চোখের জলে।