দক্ষিণেশ্বরের মন্দির : ইন্দ্রাণী মুখোপাধ‍্যায়


 

গঙ্গা নদী বয়ে চলেছে ধীরে,

তারই পূর্ব দিকের তীরে,

আজ থেকে বহু বছর আগে,

রাণী রাসমণির নৌকা গিয়ে লাগে।

তিনি ভবতারিণী মায়ের স্বপ্নাদেশে,

সেখানেই মন্দির বানালেন শেষে।

নির্মিত হল এক ঐতিহাসিক স্থান,

শ্রীরামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ যার দান।


জানা নেই এই মন্দির প্রাঙ্গনে,

কি যেন অনুভব জাগে প্রাণে।

এই মন্দিরের প্রতিটি পাথর,

কোন অজানার যেন সাক্ষর।

গঙ্গার শান্ত স্নিগ্ধ উদার সমীরণ,

ছুঁয়ে দিয়ে যায় এই মন্দির প্রাঙ্গন।

জীবনের মাঝে যত বিধিনিষেধ,

মনে হয় যেন তাতে পড়ে গেল ছেদ।


ঘুরে বেড়াতে এই মন্দির চত্বরে,

কি কথা যেন শুনি মোর অন্তরে।

মনে হয় যেন মায়ের চরণতলে,

কঠিন এ হৃদয় কখন গেছে গলে।

দূর থেকে কানে যেন শুনি 

শ্রীরামকৃষ্ণের হেঁটে চলার ধ্বনি।

আকাশে যেন ভাসে নরেণের নাম,

আমার হৃদয় তাঁদের জানায় প্রণাম।


কত যুগ যুগ ধরে, করজোরে,

 মাকে ডেকেছে কতজন ভক্তিভরে।

বয়ে গেছে কত হাওয়া কত জল,

নয়নের মাঝে অশ্রু করেছে ছলছল।

তবু চিরকালের এই  শাশ্বত  সত‍্য,

মন্দিরে  আজও জমায়েত কত ভক্ত।

চিরদিন দিয়ে যায় তাদের হৃদয়ের অঞ্জলি,

তারপর কখন তারা সব হয়ে যায় ধুলি।

শুধু অন্তরে নিয়ে যায় সেই অমৃতবাণী,

জগতের  মাঝে জেগে আছেন মা ভবতারিণী।

Post a Comment

Previous Post Next Post