আজ তোমার জন্মদিন তিলোত্তমা
তোমার কি তা মনে আছে?
তুমি আজ কতটা পাল্টে গেছো জানো
এই ব্যস্ত শহরের কাছে।
তোমার সুতানুটি গোবিন্দপুর কলকাতা,
নব উদ্যমে ছুটে চলছে আজ,
ব্যস্ত শহর ব্যস্ত মানুষগুলো
প্রতিটা সিগন্যালে আলো করছে কাজ।
ঝলমলে রাস্তা সুন্দর রেস্তোঁরা দোকানপাট
বিদেশী গাড়ি ঝাঁ চকচকে রাজমহল,
দেশি-বিদেশি মদের দোকান বার
রাতের শহরটাই টাকায় রঙ মহল।
এখন মাটির নিচ দিয়ে যায় ট্রেন
মেট্রো রেল তার নাম,
প্ল্যাটফর্মে চলমান সিঁড়ি
কল্লোলিনী তুমি হ্যান্ডসাম।
দিনের থেকে রাতে তুমি সুন্দরী
কী নেই আজ তোমার কাছে,
মুখ তুলে এক নজরে একবার দেখো
পর্দার আড়ালে কি লেখা আছে।
একদিকে যৌবনা রাতটা উপভোগ
টাকায় স্বর্গটা মেলে,
অপরদিকে ক্ষুধার চিৎকার
হেঁসেলে আগুন নাহি জ্বলে।
অপুষ্টিতে অনাহারে মৃত্যু শিশুর
শ্রমিক উপযুক্ত পায় না বেতন,
মালিকের ভু্ঁড়ি বাড়ে দিনে দিনে
চলে শ্রমিকের উপর নির্যাতন!
একী তিলোত্তমা! তোমার চোখে জল
অনবরত ঝরে পড়ছে,
তুমি এতো সুন্দরী যৌবনা নারী
ওরা, তোমার উপরটাই দেখছে।
বুঝলাম, তুমি সব কিছু বোঝো
তবুও দাঁড়িয়ে নীরবে,
প্রতিক্ষণে অশ্রু ঝরাও কেন?
বলো কতকাল রবে এভাবে?
সবকিছু জেনে সবকিছু বুঝে
এতো যন্ত্রণা বুকে জড়িয়ে,
পুড়ে ছারখার দেখে বোঝা ভার
তবু অপরূপা সেজে দাঁড়িয়ে।
