বাবার হোটেলে দিব্য আছি
খাও দাও ঘুরে বেড়াও,
চিন্তারা থাকুক চিন্তার কাছে
আমি থাকি না হয় গড়ের মাঠ।
আমি থাকি ইকো পার্কে
কিংবা ভিক্টোরিয়ায় ,
বাবা তখন খুব ব্যস্ত
তুলে দিতে আমাদের মুখে
একমুঠো... আহার।
আমি যখন তারাপিঠে
হই হুল্লোড় এ মত্ত,
বাবা তখনও খেটেই চলে
মানেনা ডাক্তারের কোন শর্ত।
আমি যখন পড়া ফেলে বন্ধুদের সাথে যাদবপুরের মাঠে!
খুলেছি আমার গল্পের ঝাঁপি,
বাবা তখন ঘরে বসে ভাবে
একদিন মেয়ে আমার মস্ত বড় মানুষ ঠিকই হবে ;
এটাই আশা রাখি।।
আমি যখন বাবার স্বপ্ন ভেঙে
দিচ্ছি উড়িয়ে নীল আকাশে ,
বাবা তখন স্বপ্নের জাল বুনে
ভাসছে কল্পনার জগতে।।
বাবার হোটেলে দিব্য আছি
বাবা আমাকে এটা দাও..ওটা দাও..
এটা আমার চাই...
বলেনা কখনোই না,
তবুও জানিনা কেন বাবাকে
ঠিক ভালোবেসে উঠতে পারলাম না।
পারলাম না বলতে সহজ কথাটি
অনেকদিন তো বাবা টানলে হোটেল
এবার না হয় থামো... লক্ষীটি।
আমরা তো এখন আর ছোটটি নাই
হয়েছি যে বড়ো,
কিছুটা দায়িত্ব এবার আমাদের দাও
তুমি বরং একটু বিশ্রাম করো।।
বাবার হোটেলে যত না সুখে আছি
বাবাকে রাখব তারও দ্বিগুণ সুখে,
বয়স বাড়বে নিয়ম মেনে
ইচ্ছেও বাড়বে প্রবল!
ফকলা দাঁতে বাবা হেসে বলবে
মা...রে...আজ একটু ঘুরতে নিয়ে
যাবি...রবীন্দ্র সরোবর। ।
