( আরণ্যক বসুর লেখা মনে থাকবে কবিতা টির অনুকরণে লেখার চেষ্টামাত্র। আগের জন্মে দেওয়া কথা একে অপরকে মনে করানোর চেষ্টা করছে)
আমাদের বয়স তো এখন ষোলোই হলো
কথা তো ছিল প্রেমে পড়ার
মনে পড়ে?
বুকের মধ্যে আজ মস্ত বড়ো ছাদটাও তৈরি
সন্ধে নামলে শীতলপাটি বিছিয়ে;
আগ্রহের সাথে অপেক্ষা করি তোমার।
একটা দুটো তারাও খসে
ক্লান্ত কবি গানও গাই
কিন্তু তাও তোমার চোখের পাতায় তারার চোখের জল
গড়িয়ে পড়ে না,
আমি তো চুপটি করে আজও দুচোখ ভরে কেবল
আছি তোমার পানেই চেয়ে..
কিছু. ..
মনে পড়ে?
কথা ছিল এই জন্মের দূরত্বটা পরের জন্মে চুকিয়ে দেবে
চুলের গন্ধ আজও একই আছে
মাতাল পাগল চাওয়া আজও আছে
কি হলো বলেছিলে তো?
মনে পড়ে?
বলেছিলে তুমি হবে উড়নচন্ডী
বা কিছুটা উস্কোখুস্কো
আগের জন্মের পরিপাট্য সবার আগে ঘুচিয়ে দেবে
আমি কাঁদলে গভীর সুখে
এক নিমেষে আমার সবটুকু জল শুষে নেবে
মনে পড়ে?
পরের জন্মে বলেছিলে কবি হবে
তা আজ হয়েওছো
তাইতো ভালোবাসার সকল পরিপাট্যকে
দুঃখ আর বিবাদে ভরিয়ে রেখেছো
বলেছিলে নাকছাবি আর নূপুর নিয়ে
গান বানিয়ে
মেলায় মেলায় বাউল হয়ে ঘুরে বেড়াবে
কিন্তু আমার নাকছাবি আর নূপুর দেখার সময় আছে?
বাউল তো.. আর..
মনে পড়ে?
বলেছিলে তোমার নাকি অনেক কথা ছিল
তা আগের জন্মে যেত না বলা
বুকের মধ্যে অনেক শব্দ ছিল
সাজিয়ে গুছিয়ে ঠিক কাব্যে
প্রকাশ করতে পারোনি!
এজন্মে তুমি তো কবি
সত্যিকারের সম্মান প্রাপ্ত কবি,
তাও কাব্য করে গুছিয়ে এ জন্মেও পারলেনা কিছুই বলতে!
কিছুই না!
বলেছিলে মানুষ হবে তা হতে পেরেছো
কেবল পারলেনা আমার প্রথম পুরুষ হতে,
ভালোবাসার অনন্ত সকাল হতে
ক্লান্ত দুচোখের আরামপ্রিয় হতে
স্বপ্ন বাস্তবায়নের একনিষ্ঠ পুরুষ হতে!
এজন্ম টাও না হয় কাটল বৃথায়
আবারও পরের জন্মে চাওয়া পাওয়ার
সকল সীমার উর্ধ্বে উঠে
তোমার নিয়ে নিরালায় কেবল,
কেবল একটিমাত্র ঘর বানাবো....
তাতেই সুখের অন্তহীন ঠিকানা খুঁজবো।
