একটি বর্ণে তোমার উচ্চারণ,
ভূমিষ্ঠ থেকে মৃত্যুর দোরগোড়ায়।
কখনোতো ভাবিনি আসব ধরণীতে,
অমরায় ছিন্ন হবে মোর হৃদয়।
তুমি করলে গর্ভধারণ কষ্টের অনুভূতিতে,
ভ্রূণ হয়ে কষ্ট দিলাম তব প্রাণেতে।
পদদ্বয়ের স্বাভাবিকতায় ঘটালাম বিঘ্নতা,
চক্ষু মুঝিয়া সকলেরে দেখাও সরলতা।
তিলে তিলে ভ্রূণে দিলে প্রাণের স্পন্দন,
অল্প ভক্ষণেও সর্বদা ভ্রূণের রক্ষণ।
তিন শত দশ দিবসে প্রসবিত প্রাণ,
গলার স্বরের উচ্চারণে "মা" ডাকে ক্রন্দন।
লালন পালনে হৃদয়ের সাদা সন্নিকটস্থ,
দূরত্ব মনে আনচান সন্তানে বিন্যস্ত।
শিশু থেকে কৈশর চক্ষুর সম্মুখে উজাগর,
যুবকের পর্যায়ে সাথীর অন্বেষণে আচার।
চার হাতের মিলন মেলা মাতায় খুশির ফোঁয়ারা,
সর্বসুখের ভাবধারা রাখবো মাতৃত্বে বাঁধনহারা।
মাতা তুমি থাকো সাদা প্রাণে চনমন,
আশীর্বাদের ডালিতে দিও অভয়দান।
সততায় বশবতী রাখি প্রাণে সদা উন্মোচন,
তোমায় সদা দিতে পারি পদদ্বয়ে যেন নমন।
