এই যে দুঃসময়, এই যে চারিদিকে হানাহানি, যুদ্ধ,
নির্লজ্জতা, হনন প্রক্রিয়া চলছে!
এত কিছুর মাঝেও কি প্রচন্ড ভাবে আপনি দাঁড়িয়ে
আছেন ,নির্ভীক !গুরুদেব।
কতকাল আগে পঁচিশে বৈশাখ, ধরাধামে তপ্ত বেলার
পরে পা ছুঁয়েছিল আপনার।
তারপর থেকে যে যাত্রা শুরু হলো_____নবজাগরণের
অরুণ আলোকে উদ্ভাসিত হলো বাঙালির মনন, চিন্তন
তার ধারা এখনও অব্যাহত।
গুরুদেব, আপনাকে শতকোটি প্রণাম।
আপনার কবিতা আমাদের সাহস জোগায়,
প্রতিদিন বাঁচার লড়াই জারি রাখে। যেখানেই অন্যায়
সেখানেই গর্জে উঠেছে আপনার বাণী।
আপনার কবিতাই প্রেমময় করে তোলে
সত্য মঙ্গলের পথে।মন খারাপের দিন, হেরে যাওয়ার দিন
সঞ্চয়িতা খুলে আশ্রয় খুঁজি।
গীতবিতানে আঙুল বুলিয়ে গুনগুন করে ওঠে
আমাদের অন্তর মহল।
নোংরামির পাহাড় পেরিয়ে যাই অবলীলায়,
আবর্জনা স্পর্শ করে না আর।
সঞ্জীবনীর সুধায় আবার প্রাণ সঞ্চারিত হয়,
গুরুদেব! পদ্মাপাড়ের দিনগুলিতে
নৌকা বিহারে যে গল্প গুলি রচিত হয়েছিল___
তা মনে হয় আবার নতুন করে লেখা হলো বুঝি!
এত কঠিন কথা কি সাবলীল ভাবে
ছুঁয়ে যায় বার বার।
শিখি বা না শিখি কি যায় আসে তাতে?
অবাক হয়ে ভাবি,কি অসম্ভব প্রতিভা! তবু মাটির
পৃথিবীতে খেলা করে গেছে কিছু কাল।
কত বিরুদ্ধ বাদী, কত কটু কথা, কত বঞ্চনা
সইতে হয়েছে বারবার।তবু ম্লান হয় নি কিছু,
রবির কিরণ ঢাকা পড়ে না কখনো।
নব্য লেখক,কবিদল রিয়েলিস্টিক লিখতে
গিয়েও ঘুরে ফিরে আপনার লেখার ই
তুলনা টেনেছে বরাবর।
বটগাছের মতো মহীরুহ তব রচনা!
বাংলা ভাষার গর্ব, চিরন্তন আশ্রয়।
পঁচিশে বৈশাখ, জন্মদিনে হে শ্রেষ্ঠ কবি
আপনাকে শতকোটি প্রণাম।।
