হরিদ্রায় শোভিত তব দেহ,
জানতে চায় মনে আছে কী কেহ?
অপরূপের সৌন্দর্যে বিচ্ছুরিত জ্যোতি,
সূর্যকিরণের তারতম্যও নেইযে বিচ্যুতি।
কেশের বেনুনীতে হলুদ ফুলের গুচ্ছ,
আদরের আবেশে মনে তুমি স্বচ্ছ।
হলুদ শাড়িতে জড়িয়েছে বাহ্যিক আবরণ,
তুমি কী পারোনা করতে মোরে বরণ।
হস্তে গৃহীত রঙিন আবিরের থালা,
রাঙাবে হৃদয় হবেনা মনে জ্বালা।
পলাশ তুমি জানাও বসন্তের কথা,
নিশ্চুপে দর্শাও আনন্দের সুখ ব্যাথা।
গুচ্ছাকারে পরিস্ফুটিত ডালের ঐ দন্ডে,
তুমিও তো আবেশে মন জাগিয়েছো রঙে।
রঙিন আবিরে ভুবনে উড়ছে আবেগ,
ভেদাভেদের লক্ষণ কভুনা বাধায় গতিবেগ।
সকল রঙের রূপভেদের মিশ্রিত বিচ্ছুরণ,
আগবাড়ায়ে মোরে হৃদয়ে করো আপন।
হলুদ মাখা মুখমন্ডলে হাসির লক্ষণ,
বুঝেছি মনে মনে আমি যে তোমারি বিলক্ষণ।
ফাল্গুনের সজ্জায় প্রভৃতি দিচ্ছে ডাক,
চলো মোরা একসাথে করি নিক্ষেপ বর্জিত বাঁক।
হাতের উপর হাতের ঝাঁক,
হরিদ্রার আভায় ভাসাও ও প্রাণে নবত্বের ডাক।