আমি রাধা গর্ভজাত ,
আমি রূপ নন্দন , দেব শিশু ,
আমি ব্রাহ্মনসুত আমি যিশু ।
আমি কর্ণ , আমি অর্জুন ,আমি বিভীষণ ,
আমি কংস , আমি জন্ম-মৃত্যু ,
আমি সৃষ্টি - প্রলয় - ধ্বংস ।
আমি বৈশাখীর অকাল ঝঞ্ঝা ,
আমি মৃত্যুর সাথে নিই পাঞ্জা ,
আমি মহাকাল , বেতাল ,আমি উন্মাদ
আমি সেই ছোট্ট শিশু প্রহ্লাদ।
আমি নির্ভীক , আমি চঞ্চল ,
আমি হইচই , আমি চপল
কভু উষ্ণ , কভু শীতল ,
আমি অনাথ শিশুর ক্রন্দন ,
আমি যুবকের কোলাহল।
আমি মায়া , শীতল তরু ছায়া ,
আমি ধরিত্রী-সুত , আমি সর্বজয়া ,
আমি পুরুষ , আমি নারী , আমি অবমানব
আমি ব্রহ্মা বিষ্ণু শিব , আমি দৈত্য দানব ,
আমি চির স্থির , উন্মত্ত , অধীর
আমি বিশ্ব নিখিল সখা ,
আমি পরশুরামের অকাল কুঠার
আমি মহাদেবের ত্রিশুল , শিবের জটা।
আমি রণতরী ,আমি সাগর মাঝে দিই লম্ফ
আমি সন্ত কবির শিষ্য , আমি ভুমিকম্প
আমি আশুতোষ , আমি কালি
আমিই সাবিত্রী-সীতা , আমি সুগ্রীব ভ্রাতা বালি
আমি বিধবা নারীর ক্রন্দন
আমি ব্রাহ্মণ ভালে চন্দন
আমি বিশ্বামিত্র শিষ্যা ,
আমি লাঞ্ছিত নারী বেশ্যা ,
আমি মান- অপমান ,
আমি বেদ-পুরাণ ,
আমি সনাতন ,
মোর ভয়ে ভীত ভৃগু ভগবান
ভিখ মাগিছে প্রাণ।
আমি কাণ্ডারি আজ
পড়িয়াছি রণসাজ ,
আমি প্রভাত সূর্য
একহাতে ধরি ধর্মকেতান
অন্যে অকাল মৃত্যু বাণ।
আমি কুরু বংশীয় ভীষ্ম ,
শত কলঙ্ক দুহিব পণে
আলো আঁধারের সন্ধিক্ষনে
উত্তরায়নে স্বয়ং জীবনদানে
সৃজীব নবীন বিশ্ব।।