শ্রেষ্ট নেতা নেতাজী সুভাষ
কটকে জন্মেছিলে,
জানকী প্রভাবতীর সুখের সংসারে এলো
উজ্জ্বল নক্ষত্র কোলে।
শুভ দিনটি জানুয়ারির তেইশ
আঠেরশো সাতানব্বই,
ভারতবর্ষে এমন এক রত্ন বলো
আর কোথা খুজে পাই।
পড়া শোনায় মেধাবী ছিলেন
স্কটিশ চার্চের ছাত্র,
প্রেসিডেন্সির এই ছাত্রের ছিল
স্বাধীনতা সংগ্রামের চরিত্র।
ছোট থেকেই দরিদ্রদের প্রতি
অকুন্ঠ ভালোবাসা,
সেবার প্রতি প্রতিনিয়ত
নিজেই এগিয়ে আসা।
তিনি ছিলেন একজন চরমপন্থী
স্বাধীনতা সংগ্রামের কিংবদন্তি,
স্বাধীনতা আন্দোলনের এইদেশে
গড়েছিলেন একক শক্তি।
ব্রিটিশ সরকারের দাসত্ব করেনি
ব্রিটিশ বিরোধী বলে,
বহুবার এই বীর নেতাকে তাই
যেতে হয়েছিল জেলে।
নরমপন্থী গান্ধীবাদীকে তিনি
ছাড়েন নাই জবাব দিতে,
জহরলাল নেহরু সেই সময়
ছিলেন সুভাষের মতে।
ছিল সাংগঠনিক ক্ষমতা প্রচুর
উনিশশো তিরিশে কলকাতার মেয়র,
বৃটিশদের ঘুম পালাতো দেখে
তার সংগঠনের বহর
ভারতবাসির থেকে চেয়েছে রক্ত
স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিতে,
বৃটিশের চোখে ধুলো দিয়েছে
সফল কাবুলিওয়ালা হতে।
তিনি জার্মান থেকে জাপান পৌঁছে
যোগাযোগ রাসবিহারীর সাথে,
অজাদ হিন্দ ফৌজ গঠন করেন
তিনি সর্বাধিনায়ক তাতে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপান যখন
পরমাণু বোমায় বিধ্বংস,
জাপান আত্মসমর্পন করলো
আজাদ হারালো সর্বস্ব।
মৃত্যুর কারণ সঠিক কিছুই
এখনো প্রমানিত নাই,
শোনা যায় তাইকানে বিমান দুর্ঘটনায়
সংরক্ষিত আছে ছাই।
দুই হাজার ছয়ে মুখার্জি কমিশন
রিপোর্ট দিয়েছে ভিন্ন,
বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু নয় কারণ
ছাই টা একেবারে অন্য।