আমি মেঘবর্ণা....শ্রাবণদিনে বৃষ্টি হয়ে নামি...পৃথিবীর বুকে।
আমার হরিণ চোখের দৃষ্টি
কি বিদ্ধ করে....
প্রতিদিনের নিয়ম ভাঙার খেলায়...
সাহারার শুষ্কতায়....একফোটা অশ্রুবিন্দু হয়ে?
অপরিণত অনুভূতিরা একটা সাম্রাজ্য গড়ে তোলে
বিদিশা নগরীর পথে।
ইতিহাস কথা বলে ছায়ার মতো পড়ে থাকা
অতীতে।তবু যেন কীভাবে থেকে যাই... অদৃশ্য বন্ধনে।কাল্পনিক অতীতকে সাক্ষী রেখে আমার হাসি ছলকে ওঠে... তবু খুঁজে ফিরি তোমার অস্তিত্ব। বৃথা যায় দিন মাস বছরগুলো...তবু আমি
আমার আমিত্বে বাঁচি। একাকীত্বের মুহূর্তেরা ভিড় জমায় মজ্জাতে...তবু একা বাঁচতে ইচ্ছা করে।
কী তীব্র সে ইচ্ছা....আত্মশক্তিতে বলীয়ান।
সময়ের বেহিসেবী পথ ধরে এগিয়ে যাওয়ার
অভিপ্রায়ে আমার স্বপ্নেরা তোমার অপেক্ষায়।নক্ষত্র রাতের ইশারায়
আমি আজও একাকী।
শব্দের কাছে ঋণী হয়ে আছি
ঠিকানা বিহীন রাত্রির কাছে
কোন এক সমুদ্রতটের বালি চিকচিক্ করে ওঠে
মরা চাঁদের আলোয়....
শীতের চাঁদখানি একফালি হয়ে যায়
প্রতিপদের গায়ে।
এতসব তুচ্ছ অনুষঙ্গের হাত ধরে কে বা মনে রাখেএই জীবনের পরিচিতি?
তবু আছি এইসব কিছু অনিয়মের খেলায় মেতে
একটা তুমিহীন সময়ের মধ্যে।
একাকার হয়ে গেছি ইতিহাসের সরণী বেয়ে
বহুযুগ আগের ধুসর অতীতে।