আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, 2004: স্বপ্নীল নিজের বন্ধুদের সাথে বেড়াতে গেছে, দিয়া বেড়াতে গেছে তার বাবা মায়ের সাথে। ঘুরতে যাওয়ার জন্য Hotel থেকে বেরোতে গিয়ে দিয়ার বাবা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লেন। স্বপ্নীল Medical Student, সে এগিয়ে এসে দিয়ার বাবাকে সুস্থ করার চেষ্টা করলো। কিছু ওষুধ স্বপ্নীলের সাথে ছিলো। সেখান থেকে সে দরকার মতো ওষুধ দিয়ে দিয়ার বাবাকে সুস্থ করে তুললো। একটা সময় স্বপ্নীল ও দিয়ার মধ্যে একটা সম্পর্ক গড়ে উঠলো।
21 December 2004: আবহাওয়া দপ্তর থেকে খবর এলো, সামনে বড়ো দুর্যোগ আসতে চলেছে। সবাইকে সাবধানে থাকতে হবে।
22 December 2004: দিয়া আর স্বপ্নীল বেড়াতে বেরিয়েছে।
স্বপ্নীল: আর মাত্র তিন দিন। 25 December বিকেল সাড়ে চারটায় আমি আর আমার বন্ধুরা এখান থেকে বেরবো।
দিয়া: তুমি সত্যিই চলে যাবে?
স্বপ্নীল: কি করবো বলো? যেতে তো হবেই।
দিয়া: তাহলে আমার কি হবে?
স্বপ্নীল: আমি আজকেই আমার মায়ের সাথে কথা বলবো। তুমি তোমার বাবা মায়ের সাথে কথা বলো।
23 December 2004: Hotel এ দিয়ার বাবা সমরেশবাবু স্বপ্নীলকে নিজেদের Room এ ডেকে পাঠালেন।
সমরেশবাবু: কি করা হয়?
স্বপ্নীল: Medical Student
সমরেশবাবু: তার মানে ভবিষ্যতের Doctor?
স্বপ্নীল: হ্যাঁ Sir
সমরেশবাবু: আমার মেয়েকে ভালোবাসো?
স্বপ্নীল: হ্যাঁ Sir, আপনার পরে আর কেউ যদি ওকে ভালোবাসে। তাহলে সেটা আমি।
সমরেশবাবু: যদি বলি, আমি তোমার সাথে আমার মেয়েকে বিয়ে দেবো না?
স্বপ্নীল: আপনি আমার বাবার মতো। আপনার একটা সম্মান আছে। কিন্তু আমার বিশ্বাস, আমি আপনার মন জয় করতে পেরেছি।
24 December 2004: স্বপ্নীল ও দিয়া - দুজনের বাড়ি থেকে সম্পর্ক মেনে নিয়েছে। সেই আনন্দে দুজনেই ঘুরতে বেরিয়ে গেলো। হঠাৎ বিশাল সামুদ্রিক ঝড় এসে সবকিছু তছনছ করে দিয়ে চলে গেলো।
সুনামী। এক বিশাল সামুদ্রিক ঝড়। একটা সুন্দর প্রেম কাহিনী, একটা সুন্দর সম্পর্ক শেষ করে দিয়ে চলে গেলো।