অভিশপ্তের আঙিনায় শুরু বছরের দিবস,
চলছে এখনো শংসয়ের জীবনে নিরস।
মাঝে মাঝে উঁকি মারে প্রাণের আশা,
হৃদকম্পনে জাগায় বাঁচার নব্য ভরসা।
সাবধানতার সচেতনেতায় করি চক্ষুর উন্মোচন,
দুষ্টের দমন নিমিষে ঘটছে সমাপন।
কষ্টের দৃশ্যেও প্রকৃতির হয়না পরিবর্তন,
পুবাকাশে সর্বদা উঠবে ঊষার কিরণ।
বিচ্ছুরিত হয় চারিদিকে অগ্রবৎসরের মতন,
ধরিত্রী আলোকিত রক্তিম আভায় আচ্ছাদন।
মরুভূমিতে খুশির আবহাওয়ায় জাগে মরুদ্যান,
সমভূমিতে দুর্বার ডগায় শিশিরের প্রাণ।
মরীচিকার আবেশে টানে প্রাণের কম্পন,
তিতলির আনাগোনায় উড্ডয়ন পুষ্পের পরিস্ফুটন।
সিক্ততার আধিক্য আনে কৃষকের মান,
ফলনের অতিশয্যে গৃহে অর্থের যোগান।
খামখেয়ালীর আবহাওয়া বর্তায় মনে ক্রন্দন,
ধ্বংস আর ধ্বংসস্তূপে চারিদিকে রোদন।
পালিত বাঙালির উৎসব নিয়মের জালে,
কষ্টলাঘব কচিকাঁচায় আনে আনন্দের তালে।
পায়ের চাপে ঢেঁকিতে চালের চূর্ণন,
হাতের কারুকার্যে গৃহে রকমারি উপঢৌকন।
খেজুরের গুড়ের মিশ্রণে জিব্বায় জলস্পুটন,
দুধের ব্যবহারে সুস্বাদের নেই অনটন।
দুঃখ-সংশয়- আবেগ- আনন্দের মিশ্রণ,
বছরভর চলছে প্রাণে বিস্তারিত শিহরণ।
ভুল ত্রুটি মার্জনায় করলাম বছর খতম,
নববর্ষের শুভকামনায় সকলকে হৃদয়ে সুস্বাগতম।