আজ আমি আবারও সেজেছি,
নব বধু সাজে
জানিনা আজ কী বিপদ
আমার জন্য লুকিয়ে আছে।।
আগের বার যখন সেজেছিলাম
পরণে ছিল লাল বেনারসী,
গলায় হার,হাতে শাঁখা পলা,কপালে চন্দন
ঠাট্টা করে বলেছিল বান্ধবীরা দেখবি বাড়বে দ্বীপের হৃৎস্পন্দন ।।
যথারীতি দ্বীপ নির্দিষ্ট সময়ে এল সাত সমুদ্র তেরো নদী পার করে রাজপুত্র বেশে তার হীরে মুক্ত খচিত ঘোড়ায় আমাকে নিয়ে যেতে তার সীমানায়,
তাইতো আমার আর খুশি থামেনা।।
ঝলমলে লাল চেরির ফাঁকে আল্ত উঁকি মারলাম, আর লজ্জায় লাল হয়ে আমার স্বপ্নরাজ্যে হারিয়ে গেলাম।।
এমন সময় এক ঝটকায় আমার স্বপ্ন চূর্ণ বিচূর্ণ হয়ে গেল,
সবাই বলাবলি করছে এ বিয়ে হবে না।।
দ্বীপের বাবার কড়া ধমকে দ্বীপ মণ্ডপ ছেড়ে উঠে গেল,
যাবার সময় বলে গেল আমি চলি তুমি ভালো থেকো।।
আমি রইলেম একা
হলাম আমি লগ্নভ্রষ্টা
লগ্নভ্রষ্টারা নাকি সুখি হয় না হয় কেবল অপয়া অপক্ষণা।।
এইভাবেই দিন কাটত আমার বেশ সুখে
পাড়ার লোকের গঞ্জনা আর মায়ের চোখ ভরা জল দেখে।।
একদিন হঠাত গলির মোরে একি
এ যে দ্বীপের মতো কাওকে দেখি।।
সামনে এসে হাজির হল বলল কথা কেমন আছো?
উত্তরে হেসে বললাম যেমনটি তুমি দেখেছো,
ভাঙল মোর স্বপ্নতরী
আমি কী তা এত সহজে ভুলতে পারি।।
উঠল বিশ্বাস ভালোবাসা থেকে
উদাস একা আমি দেব দূর দেশে পারি,
আবারও আমি খুব শীঘ্রই বসব বিয়ের পিড়ি।।
আবারো সেজেছি আমি নব বধু সাজে
জানিনা আজ আবার কী বিপদ ঘনিয়ে আসে।।
