একাধারে একাকিত্ব হাতছানি দেয় মুক্ত আকাশ
একাধারে বন্দিশালা দম বন্ধ জীবন করে ছারখার।
একাধারে তুমি আছো দুহাত বাড়িয়ে অপেক্ষায়
একাধারে আমি একা জ্বলছি দিনরাত্রি মরমে।
সংস্কার শতবাঁধা দ্বায়িত্বের বেড়াজাল আষ্টেপৃষ্ঠে
বাঁধন আমার, যন্ত্রনা শত হোক কে ঘুচাবে এ আঁধার?
মেঘমুক্ত আকাশ তোমার! দেবালয়ে মুর্তি স্থাপন করে
করছো আরতি,ভাবছো বসে আসবে কবে সেই শুভ মুহুর্ত।
আঁধারে একসলতে প্রদীপ আলো ঝাপসা চোখে দেখি
হলুদ সরষে কালো! জানি এ জীবন কেটে যাবে বিষাদের ঘনঘোরে।জঙ্গলের আগুনে ঝলসে ওঠে
প্রতিটি মহীরুহ পরম পিতামাতা। অগ্নিচিতায় উঠবো
আমি বাসর প্রিয় পিয়াসী, প্রেম পিয়ালা চুমুক দিয়ে
ওষ্ট যুগল কাঁপনে ধরিত্রী। একমুঠো ছাই উড়িয়ে ভস্ম
করো শব দেহ,অস্থিমজ্জা বির্সজনে বিলীন হলো আজ
আমার মৃত্তিকা। চরম আমার জন্ম পাওয়া, চরম আমি
চন্ডিকা রুপ হে তোমার নারী।
Tags:
বাংলা কবিতা
