মা অংক বোঝে না : শিল্পী ঘোষ




মা এখনো অংক বোঝেনা

একটা রুটি চাইলে দুটো নিয়ে আসে।

কোথাও যাবার সময় ২০ টাকা চাইলে ৫০ টাকা পকেটে ঢুকিয়ে দেয়,


মা ইংরেজি ও বোঝেনা,

I hate you বললে উল্টে না বুঝে ছেলেকে ভালবেসে বুকে জড়িয়ে নেয়।


মা মিথ্যেবাদী,

না খেয়েও বলে খেয়েছি। পেটে খিদে থাকা সত্ত্বেও নিজে না খেয়ে প্রিয় খাবার টা ছেলের জন্য যত্ন করে তুলে রাখে।


মা বোকা,

সারা জীবন কলুর বলদের মতো রান্নাঘর, আর আমাদের ভালো মন্দের পিছনে কাটিয়ে দেয়।


মা চোর,

বন্ধুদের সাথে পিকনিকে যাব বললে রাতেই বাবার পকেট থেকে টাকা চুরি করে আমাকে দিয়ে দেয়।


মা নির্লজ্জ,

মাকে কতবার বলি আমার জিনিস যেন হাত না দেয়,তবুও মানুষের মত আমার এলোমেলো ভাবে পড়ে থাকা জিনিস গুলো নিজের হাতে সুন্দরভাবে গুছিয়ে রাখে।


মা বেহায়া,

আমি কথা না বললে জোর করে গায়ে পড়ে এসে কথা বলে। রাতে ঘুমের ঘোরে দরজার ফাঁক থেকে উঁকি মেরে আমাকে দেখে যায়।


মায়ের কোনো কমনসেন্স নেই,

আমার প্লেটে কম খাবার দেখলেই কেমন জানি করে, মানা এত খাবার কম কেন? এই বলে প্লেটটা ভর্তি করে দেয়। এত খাওয়ার পরেও মায়ের চোখে যেন কত দিনের না খাওয়া মেয়ে।


মা কেয়ারলেস,

নিজের কোমরের ব্যথা, পিঠের ব্যথা পায়ের ব্যথায় কষ্ট পেলেও কখনো ওষুধের কথা মুখেও আনে না। অথচ আমার একটা কাশিতে তার দিনটা যেন ওলটপালট হয়ে যায়, ডাক্তার বৈদ্য সব যেন এক করে বসে।


মা আনস্মার্ট,

অনেকের মায়ের মত করে মা দামি দামি শাড়ি পড়ে না, ভ্যানিটি ব্যাগ ঝুলিয়ে স্মার্ট ফোন হাতে নিয়ে ও  ঘুরতে যায় না,।সারাদিন খালি রান্নাঘর আর আমাদের ভালো-মন্দের চিন্তায় পুরনো ভাবেই দিনটা কাটিয়ে দেয়।


মা স্বার্থপর,

নিজের সন্তান ও স্বামীর জন্য মা দুনিয়ার সবকিছু ত্যাগ করতে পারে।


   পৃথিবীর সবচেয়ে খারাপ বোধ হয় মা। তাই বুঝি আমরা সন্তানেরা তাদের এত কষ্ট দিই। তবুও তাদের পরিবর্তন হয় না। প্রতিদিন এইসব আচরণগুলো বারবার তারা করে। একটু বড় হয়ে গেলে তাদের আমরা বৃদ্ধাশ্রমে বা আমাদের জীবন থেকে দূরে রাখি। তবুও তারা বোকার মত ভগবানের কাছে আমাদের ভালো থাকার জন্য প্রার্থনা করে।

সারা জীবনটা আমাদের খালি ভালোবাসা দিয়েই যায়। বিনিময় দিনে একবার হলেও আদর করে সন্তানের মুখ থেকে "মা "ডাক টা  শুনতে চাই, তারা কত নির্বোধ তাই না । 


       আসুন যাদের মা বেচে আছে তাদেরকে সম্মান করুন, তাদের নিঃস্বার্থ ভালবাসা কে সম্মান দিন , তাদের গুরুত্ব  দিন।। 





Post a Comment

Previous Post Next Post