জামাই ষষ্ঠীর শ্রদ্ধা : শিল্পা ঘোষ




মা - (ফোনে) কিরে, জামাইকে বলেছিস তো কাল আসার কথা?
মেয়ে- হ্যাঁ, বলেছি। 
মা- বলছিলাম কাল একটু সকাল সকাল আসিস, সেই বিয়ের পর থেকে এমন পাকা গিন্নি হয়ে উঠেছিস, এসে তো দু-দন্ড বসিস না, এলি তো শুধু বাড়ি যাই যাই। জামাই তো সারাদিন কাজ নিয়ে ব্যস্ত। তাকে তো পাওয়া যায় ই না। তুই তো এসে কটা দিন এসে থাকতে পারিস। 
মেয়ে- তোমার জামাইকে ফোন দিচ্ছি ওকে এসব বলো আমি ওসব কিছু জানিনা।
মা- বেশ দে তবে ফোনটা।
জামাই- বলুন মা, আমাকে মনে পড়লো তাহলে।
মা - না আসলে যখন ফোন করি তুমি তখন থাকো না, তাই আর কি, বলছিলাম বাবা কাল সকাল সকাল আসবে কিন্তু।
জামাই - কিছু মনে করবেন না মা আমার যাওয়া হয়ে উঠবে না।
মা - বুঝেছি আর একটু আগে বলা উচিত ছিল। আসলে তোমরা বাবা চলে যাবার পর সব একা একাই করতে হয় তো। জানি, এখানে এলে গরমে খুব কষ্ট হয় তোমার, এসি.........
জামাই - অনেক বছর হলো তো মা , এখনও কি আমি জামাই হইয়ে থাকবো? ছেলে কি হবো না এবার? 
(মৃদু হেসে) আপনি কাল এখানে আসবেন বুঝেছেন মা! 
মা - না না, সে কি হয় !
জামাই- সব হয় , কাল সকাল সকাল তৈরি থাকবেন আপনি, আমি নিতে যাবো আপনাকে। কাল সবাই একসাথে লাঞ্চ করবো, প্রতিবার তো আপনি গরমের মধ্যে কষ্ট করে জামাইষষ্ঠীর আয়োজন করেন। এবার না হয় সবাই মিলে করি । এবার না একটু অন্যরকম ই হোক জামাইষষ্ঠীটা।
( মেয়ে পাশে দাড়িয়ে তখন চোখের জল মুচছিল, হোয়ত সে এটাই বলতে চেয়েছিল কিন্তু সাহস করে আর বলা হয়ে ওঠেনি)




Post a Comment

Previous Post Next Post