ধরো যদি এমন হয় বৃষ্টি তে নাজেহাল
চারিদিক স্যাঁতসেঁতে ভিজে কাপড়ের হাট .
জানালার পাশে কাক ভেজা পাখিরা বেহাল
ঘরের মধ্যে বন্দী আমি ছটফট মন নিয়ে চঞ্চল ।
অবিশ্রান্ত বৃষ্টির উপচানো জল দেখি দু চোখ ভরে
এমন সময় হঠাৎ একঝলক রোদ্দুর
কেউ পাঠিয়ে দেয় ! ! ! ! !
পাখিরা ডানা সেঁকে নেয় সেই তাপে
ভিজে কাপড়েরা শুকিয়ে পাঁপড়ের মতো ।
আর চটি গলিয়ে লঘু পায়ে উধাও হই
যেখানে যেতে চায় মন . . . . . . .
এমন ও তো হতে পারে ' দাবদাহে
সবকিছু পুড়ে খাক ! !
বসুন্ধরা ও ঝিমিয়ে পড়ে মায়াহীন
বোবা গাছেদের পাতায় পাতায় দীর্ঘশ্বাস ।
জলের জন্য কত জনের হাহাকার ...
পশু পাখিদের বেঁচে থাকাই ভীষণ দায়
বাঘের বিক্রমে সূর্য এখন মুখ ভেংচায় ।
হঠাৎ যদি এক পশলা বৃষ্টি নামে
খুব জোর সে ধারাপাতে হৃদয় জুড়ায় . . . . .
সবাই আবার প্রান ফিরে পায় মুহূর্তে
অবশ আমার দু চোখ জুড়ে ঘুম নামে ।
ধরো যদি মরুভূমির কোনো দেশে
বালির সমুদ্রে হারিয়ে যায় পথিকেরা
মেয়েরা মাইল মাইল হাঁটে জলের খোঁজে
যাযাবরের জীবন ওদের অনিশ্চিত ।
সবুজ শ্যামল মরুদ্যানের স্বপ্ন দেখে
জীবন কাটে পরিশ্রমে আর সংঘাতে ।
দেশের ওই অবাধ্য যতো নদী আছে
গতি তাদের হঠাৎ যদি যায় ঘুরে
বাঁক নিয়ে জলরাশির বন্যা হয়ে
ভাসিয়ে দিক বানজারাভূমি কানায় কানায় . . . . .
বাবলা আর কাঁটাঝোপের রাজ্যে
তখন সবুজ শুধুই সবুজ হতো
ধরো যদি হতো এমন
বাড়িতে বাবা রুগ্নশয্যায়. . . .
মায়ের কাছে ক ' টা টাকা সম্বল
ছেলেমেয়েরা পড়েছে অনেক দূর
কিন্তু তারা বেকার স্বপ্নহীন
দিশাহারা নাবিক পথ হারিয়ে ঝড়ে দোদুলমান ।
হঠাৎ কোনো মন্ত্রবলে তারা
পেয়ে গেল কাজের সন্ধান ।
কেমন হতো এমন যদি হতো
রূপকথারা আকাশ থেকে ঝরে . . .
থেকে যায় আমার কল্পনায়
তোমার আমার মনের কোনে কোনে । ।

