ডিসেম্বর মানে একটা গোটা বছরের সমাপ্তি;
আশাপূরণের উচ্ছ্বাসে বছর শেষে কারো কারো অন্তরে তৃপ্তি।
আবার কারো-বছর শেষ তো কী!সেদিকে নেই কোনো দৃষ্টি,
হঠাতেই যেন পেরিয়ে গেলো দিন তিনশো পঁয়ষট্টি।
আসলে যে যেতেই হবে সময় হলে যাওয়ার
পুরোতনকে বিদায় জানিয়ে নতুন আসে আবার।
কিন্তু যাদের প্রত্যেকটা দিন অভাবে অভাবেই চলে,
তাদের কাছে নতুন বছর কিছু কী প্রভাব ফেলে?
সারারাত জেগে বর্ষবরণ করি,খরচ করি দেদার;
কখনো ভেবেছি কী?
বস্তির অনাহারি মানুষের মুখে খাবার তুলে দেবার।
সান্তা দাদুর জামাটুপি পড়ে পালন করি ক্রিসমাস,
কজন-ই বা ভাবে,ওদের শীতবস্ত্র তুলে দিই
যাদের দু-একটা কাপড়েই কেটে গেছে বারোটা মাস!
কত ঘরের ছেলে-মেয়েরা পায়না দুবেলা দুমুঠো খেতে,
অভাবের জ্বালায় মা-বোনেরা পথে ঘাটে দাঁড়িয়ে দুহাত পেতে;
ওষুধের অভাবে দাদু-ঠাকুমা অনবরত কাশে
নতুন বছর এলেও তাদের কী যায় আসে?
অজস্র ছেলেবউরা হুল্লোড় করে নামীদামী পিকনিক স্পটে
খোঁজ নিয়ে দেখো,ওদের মধ্যে কারোর না কারোর
বৃদ্ধ মা-বাবার ঠাঁই হয়না ছেলের মস্ত ফ্ল্যাটে!
তাঁদের আবার কিসের বর্ষবরণ,
অভাবের তরী বাইতে গিয়ে যারা আজ দিশেহারা।
ভগবানের কাছে নতুনের আগমনে এটুকুই শুধু চাই,
চারিদিকে চোখ মেললে যেন অভুক্ত মানুষ না পাই!
নতুন বছর সকলের শুভ হোক,আর্থিক অভাব হোক দূর,
সকলের জীবন হয়ে উঠুক সুখ-শান্তি,সমৃদ্ধি, আনন্দে ভরপুর।