পায়ে পায়ে পঁচাত্তর বছর পেরিয়ে একে একে
জড়ো হলো ওরা....
রতনলাল, সামসুল,পরমজিত,চিনু ভাই প্যাটেল,
শ্রীনিবাসন, দিগম্বর আর ডি গঞ্জালেস।
ত্রি রঙ্গা পতাকার নিচে হাতে হাত রাখলো
তারপর উচ্চারিত হলো বন্দে মাতরম ধ্বনি।
বৃষ্টি ভেজা সকালে হটাৎ রোদ্দুরের মতো
গমগমে ভরাট সমবেত জাতীয় সঙ্গীত
ধ্বনিত হলো। মুখরিত হলো চারদিক।
এই দিনটার জন্যই অপেক্ষা করে থাকা....
দু'শ বছরের অভিশাপ _ অবমাননার অবসান
১৫ই আগস্ট।
সামসুল বলে উঠলো, ভাই রে ... আমরা আর
ধর্মের হানাহানির ফাঁদে পা দেবো না ।
আমাদের ধর্ম একটাই মানবতা ......
ভারতবর্ষ উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো আলো দান করে,
সব মহাদেশের মানুষ এক হয়ে যাক
উদারতার আলোকে।
সবাই মাথা নেড়ে একসুরে হাত মুঠো করে বলে
আমরা সবাই একসাথেই আছি। থাকবো.....
শত বিভেদের গুঞ্জন, হানাহানি আমাদের পৃথক
করতে পারবে না।
ভারত ভাগের সে যন্ত্রনা আজও বইতে হয়।
স্বাধীনতার স্বাদ নোনা চোখের জলে আর
রক্তে সিক্ত হয়েছে । কত শোক কাটিয়ে,
কত আহুতি দিয়ে উঠে দাড়িয়েছি।
আমরা নেতাজি কে ভুলিনি,ভুলিনি অগণিত
শহীদের আত্মত্যাগ ।
তবুও তো কিছু ক্ষমতায়ন লোকেরা ভুলে গেছে
সবকিছু। নিজের আখের গোছাবার খেলায়
মেতে উঠে টুকরো টুকরো ভারত দেখতে চায়।
দেশ মানে তো জমির সীমানা , কাঁটাতার নয়।
দেশের মানুষ! ত্রি রঙ্গা তাদের মনে প্রাণে আছে তো।
কি পেয়েছি আর কি পাই নি র বেদনায়
অভাগা খেটে খাওয়া মানুষ অবসন্ন হয়ে যায়।
স্বাধীনতা তাদের দুয়ারে উঁকি দিয়ে দেখে না।
ত্রি রঙ্গা পতাকা লাল কিল্লায় পতপত করে ওড়ে।
দেশের সর্বত্র ওড়ে ....অথবা নয়।
এভাবেই আমার প্রিয় দেশ ,দেশের মাটি সামনে
এগিয়ে যায়। সংস্কৃতি ভিন্ন, ভাষা _ধর্ম ভিন্ন অথচ
প্রেম প্রীতি মাখা বন্ধনে আবদ্ধ আমরা এগিয়ে চলি....
নতুন ভোরের দিকে।
সবাই এসে মিলে যায় "এই ভারতের
মহামানবের সাগর তীরে"।।
