বাতাসে তখন শিউলির গন্ধ, চারিদিকে কাশফুলের ছড়াছড়ি ।এমন সময় মা এলেন মৃন্ময়ী রূপে। বাকি সময় তো চিন্ময়ী। প্রকৃতির ধুলোমাটি ছেনে অপরূপ মনের মাধুরী মিশিয়ে শিল্পী তাকে আনলেন এই ধরাভূমে। অমরাবতীর সিদ্ধিদাত্রী কন্যা রূপে বিরাজ করলেন বাঙালির মনে ও মননে, সংস্কৃতিতে ও কৃষ্টি তে।নবপত্রিকার মাধ্যমে আসলে প্রকৃতির ই তো পূজা। আবার বিবাহিতা নারীর মায়ের কাছে আসার আর্তি ।বিজয়ার দিন শুভ শক্তির বিজয় ঘোষণা করে মা ফিরলেন সুরলোকে ।সে কোথায়? প্রকৃতির মধ্যে ই তো ------ সকলের চিত্তে অধিষ্ঠান । ভালো মন্দ যা কিছু সব তো মনেই। আবার করালবদনা কালী রূপে তাঁর প্রকাশ দীপাবলি তে।অমাবস্যার কালিমায় যেন মনের কালি দূর করার প্রয়াস ।কিন্তু সে কি আর হয়ে ওঠে? আলোকজ্জল পথমালায় যেটুকু অন্ধকার ঘোচে মনে তার প্রবেশ কতটুকু? সেই দিয়া বাতি কি সত্যি ই জ্বালতে পারি? মায়ের কাছে একটা ই প্রার্থনা থাকুক সমস্ত অন্ধকার - গ্লানি- দুঃখ তিনি যেন হরণ করেন ও সত্যের প্রদীপ জ্বলে ওঠে চারিদিকে ।
Tags:
অনুভূতির চার কথা