হিমালয় আজ করিছে বিরাজ
রাজোচিত গাম্ভীর্যে,
শৌর্য তাহার স্বর্ণমুকুট,
দৃপ্ত আপন বীর্যে।
আন্তরীক্ষে ধরাইয়া চিড়
অম্বরভেদী শৃঙ্গ,
রামধনু তায় সুধা ঢেলে যায়
শ্যামল শোভিত অঙ্গ।
শান্ত নীরব নীল ভৈরব
একদিন ছিল খর্ব,
ধরার বুকেতে যুঝিয়া ঝঞ্ঝা
আজ তা ভূমির গর্ব।
আলোড়ন যবে ঘোর আগ্রাসী,
ভূমিতে ভূমিতে দ্বন্দ্ব,
শত কম্পনে মানেনি সে হার
রেখেছিল সুর ছন্দ।
হাজার রুধিয়া,মারিয়া পিষিয়া
সত্ত্বা হয়নি নত,
নিজেকে পিটিয়ে গড়ে স্হাপত্য
ভূমিপরে জাগ্রত।
আজ হিমালয় উন্নতশির
লক্ষ বছর পরে,
মানবচরিত গঠনের মূলমন্ত্র
প্রতি পাথরে।
আকাশ যদি হয় অভিমুখ
ঝড়েতে থেকে অদম্য,
ঘাত প্রতিঘাতে ঋজুতাকে করে
মালাহার,এনে সাম্য
এই প্রতিকূল রণাঙ্গনেতে
নাছোড় যদি অভীষ্ট,
আকাশের নীলে দেখা যাবে
নিজ অভিমুখ চির স্পষ্ট...
Tags:
বাংলা কবিতা