৫ই সেপ্টেম্বর দিনটা প্রতিবছর শিক্ষক দিবস হিসেবে পালিত হয়। দার্শনিক, শিক্ষাবিদ ডক্টর সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণানের জন্মদিন। সর্বপ্রথমে আমাদের জীবনের প্রথম শিক্ষাগুরু মা বাবাকে শতকোটি প্রণাম এবং বিশ্বের সমস্ত শিক্ষকদের বিনম্র শ্রদ্ধা ও প্রণাম জানাই। আসলে তারাই তো মানুষ গড়ার কারিগর ও সমাজের মেরুদন্ড। গুরু হলেন তিনি যিনি অন্ধকার থেকে হাত ধরে আমাদের আলোয় নিয়ে আসেন। তাদের আশীর্বাদ যেন সবসময় আমাদের মাথায় থাকে। সেভাবে দেখতে গেলে প্রকৃতি ও আমাদের বড়ো শিক্ষক। পদে পদে আমরা তার কাছ থেকে শিখি আবার কখনো গ্রাহ্য করিনা। পরে এর ফল ভুগতে হয়। আর একজন বড়ো শিক্ষক হলেন সময়। জীবনের প্রতিমুহূর্তে বাঁচার তাগিদে আমরা শিখি। সেইসকল শিক্ষকদের অকৃত্রিম অবদান আমরা যেন না ভুলি। তবে বর্তমান সময়ে শিক্ষকদের নামে অনেকে কলঙ্কিত কাণ্ড ঘটান যা সকলের মাথা নত করে দেয়। তারা কোনোরূপে গুরুর পদে সমাসীন হতে পারেনা। এখনকার শিক্ষকদিবসে যে আড়ম্বর দেখি তা আমাদের সময়ে ছিলনা। টাকা-পয়সার বাহুল্য নয়, শ্রদ্ধা ভালোবাসায় গাথা ছিলো সেগুলি। সামান্য ফুলের গুচ্ছ দিয়ে ফুলদানি টেবিলে সাজানো, শিক্ষকদের মিষ্টি ও সামান্য পেন উপহার দিয়েই আমরা অফুরন্ত ভালোবাসা, প্রশ্রয় বকুনি সবই পেতাম। যেগুলি হয়ে উঠেছে আগামী দিনের পথ চলার পাথেয়।
Tags:
অনুভূতির চার কথা
