নিত্য রাতে চোখ যখন ক্লান্ত,
দুচোখে নামে ঘুমের পাহাড়...
তখন তুমি কে হে কন্যা,
একাকি করো আমার স্বপ্নরাজ্যে বিহার।।
মাঝে মাঝে মনে হই আমি তোমাকে চিনি, জানি..
তুমি তো আমার অন্তরের সেই শান্ত, পবিত্র রমনী...
যার জন্য নিত্য আমি,
একাকি দিন গুনি।।
কতকাল চেয়েছি ঘুমাতে,
কিন্তু ঘুমাতে পারিনি..
তীব্র যন্ত্রণায় দুচোখে আমার,
ঘুম কখনও নামেনি।।
তবে জানো, আজকাল আমার দুচোখে নামে অন্ধকার...
শুধু তোমাকে দেখার জন্য,
তোমার মুখের ওই হাসি আর ঝলমলে রূপের বাহার।।
আমি চাই ঘুমিয়ে থাকতে সর্বক্ষণ,
শুধু তোমাকে দেখার জন্য প্রিয়া..
আমার চির নিদ্রার সময়,
আসছেনা যতক্ষণ ।।
আচ্ছা তুমি কি স্বপ্নপরি?
নিতে এসেছো আমায়
স্বপ্নের দুনিয়ার ?
তুমি কেন করো খেলা কেবল স্বপ্নেই...
বাস্তবে দাওনা ধরা, দাও শুধুই ফাঁকি,
তুমি খুব পাজি কেবল মাত্র
স্বপ্নেই করো আঁকিবুকি ।।
এ...কি তুমি হাসছো..
ভাবছ পাগল হলো নাকি?
সে যাই ভাবো না কেন,
বলো দেবেনা আর আমায় ফাঁকি?
ওহে কুমার..শান্ত হও.. আমিই তোমার বাস্তব,
আমি নই কোনো স্বপ্নপরি..
ইহা সত্য আমি তোমাকে নিতে এসেছি, তবে আমি মৃত্যুপরি।।
শান্ত হও কুমার, এবার তোমার সময় ফুরাইল..
জীবনের প্রদীপ এই বুঝি নিভল.. এত অস্থিরতা তোমার পাই না শোভা,
এ হেন প্রলাপ বন্ধ করো।।
নিতে এসেছো? আ! আনন্দে নেই কোন সীমা আমার আজ..
চির নিদ্রার দেশে যাবার সঙ্গী যখন সুন্দরী,
তখন না যাওয়াই একান্ত মূর্খামি, একান্তই বোকার সাজ।।
এখন আমার যাবার সময় হল বুঝি কন্যে,
জীবনরূপী প্রদীপ খানি নিভল বুঝি এই ক্ষনে।
অপেক্ষার দিন শেষ হলো আজি,
চির ঘুমের রাত্রি অবশেষে আসতে হলো রাজি।।
চির ঘুমের দেশে নবীন চলল...
ঘুম ভেঙে আবারো কোনো নতুন দেশে,
নব রূপে নবীনের আগমন ধ্বনি,
একটিবারের জন্য শোনা গেল ।।