বৃদ্ধাশ্রমের আঙিনায় : কমল কুমার রায়


 

 মনে পড়ে তুমি ছিলে আপন,

 চশমাটা ভাঙাচোরা হচ্ছে দেহে কম্পন। 

 জীর্ণ শীর্ণ দেহ মেদহীন গঠন,

 চলায় অক্ষম লাঠিতে সক্ষম জীবন।

 তোমার সুঠাম দেহ আকর্ষিত মন,

 চুলের গোছায় পুলকিত হয় সর্বজন।

 তোমার চোখের পলকের ধিপ ধিপ,

 হৃদয়ে বাতাস বয় জ্বলে প্রদীপ।

 তোমার হাতের স্পর্শের অনুভূতি,

 মনেতে ছিল জোর নির্ভয়ের জ্যোতি।

 যত্নের মহিমায় জীবন ছিল স্বপ্নাতীত,

 স্মরণ করায় শিশুতে মায়ের অতীত।

 সন্তানের দেখভালে তুমি মহিয়সী রমণী,

 দুঃখের বোঝা দাওনি ঞ্জানতো জানি।

 হঠাৎ করে দুর্ঘটনায় বিচ্ছেদ আনমনে,

 স্মৃতিভ্রমে ভুলেছি সব নিয়তির যতনে। 

 ঠাঁই হয়েছে বৃদ্ধাশ্রমে নতুন সংসার, 

আমার আপন সবাই গেছে হয়েছি কদাকার।

 যত্নের নেইযে তোমার মত কেউ,

 জীর্ণ শীর্ণ দেহে জীবনে সংগ্রামের ঢেউ।

 পক্বকেশে ঘোমটায় ঢাকিয়াছ তোমার মুখ,

 চোখের পলকে চিহ্ননে স্নায়ুতে সুখ। 

আবার মিলন হলো বৃদ্বাশ্রমের আঙিনায়,

 আবার আদর কী করবে পূর্বের ন্যায়।

বৃদ্ধ-বৃদ্ধা হয়েছিতো সকলেই জানে,

 সন্তানের ভালোবাসা আমৃত্যু কাটবে শ্মশানে।

Post a Comment

Previous Post Next Post