বিশ্বজুড়ে আগ্রাসনে দিনে আঁধার রাতের।
অপুষ্টিতে বারুদ গন্ধ অভাব বড়ো ভাতের।।
বাঁচার চেয়ে টিকে থাকা ভয় করে সন্ত্রাসে।
বিকোয় সত্য,বিবেক বন্দী টান পড়ে বিশ্বাসে।।
তখনি ঠিক রবির গানে আকাশ পাশে দাঁড়ায়।
অমানবিক ভাবতে গেলে বিবেক এসে নাড়ায়।।
রাজনীতিতে পাবার আশায় মোম মিছিলের শেষে।
তোষামুদে কচলাবে হাত দেঁতো হাসি হেসে।।
শাদা শাদা শকুনগুলোর লোলুপ লোলুপ চোখ।
স্বপ্ন ছাড়াই আম জনতার রাসায়নিক শোক।।
ঠাকুর তোমার কবিতাতে ঐহিক নিরামিষ।
ছন্দে ভাবে মুকুল গন্ধ কর্ণে কোকিল শিস।।
ভালোবাসায় টানাপোড়েন ভালো বাসায় ঘুণ।
বৃদ্ধাশ্রমে হিসেব করে চোখের জলের নুন।।
কন্যাতে কুল যাবার ভয়ে রাত লুকানো রাতে।
ভিন্ন জাতের মানুষ বলে জল খাবে না হাতে।।
উপন্যাসের পাতায় রবির নতুন জীবন বোধ।
ভালোবাসায় ভালো বাসা নয়তো প্রতিশোধ।।
মধ্যবিত্তের মধ্যচিত্ত লোভ লালসায় পড়ে।
নিজেকে তাই যুগের মতো আজ নিয়েছে গড়ে।।
প্রতিবাদী মনের কোণে মুখোশ অজুহাত।
দিনের বেলায় অন্ধকারে চোখ বোজানো রাত।।
রবি ঠাকুর সৃষ্টি দিয়ে মন খারাপের ময়লা।
সাফ করে দেন রবীন্দ্রনাথ, যদি পড়ি পয়লা।।
