আজকেরটা নিয়ে তারেখের কতো নম্বর শিকার মনে নেই! হয়তো দশ হয়তো বারো বা পনেরো আচ্ছা ও কি তারেখ না মাকসুদ না ইমন নাকি সুমন কে ও। আয়নার দিকে তাকিয়ে মনে মনে কথা গুলো ভেবে ওঠে সে। শুরু করেছিল তখন সদ্য যুবক আজ প্রায় মধ্য বয়েসী সে। একটাই শখ তার বিভিন্ন মেয়েদের সাথে বন্ধুত্ব করে নির্জন হোটেল, রিসোর্টে তাদের ডেকে নিয়ে গিয়ে উপভোগ করা তারপর তাদের ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া। তারপর আবার নতুন নাম নতুন শিকার। নাহ্ তাদের ছবি তোলা বা সেই দেখিয়ে ব্লাকমেইল এসব কিছুই সে করেনা। সে শুধু উপভোগ করতে চায়। রোজ রোজ নতুন নতুন মেয়েকে জিতে নেওয়া তার কাছে যেনো একটা চ্যালেঞ্জ। আজও সে এসেছে এই নির্জন সমুদ্র সৈকতের একটা হোমস্টে তে। তার সাথে এসেছে ডাকসাইটে সুন্দরী লীনা গুহ। বছর বত্রিশের লীনা একটি বহুজাতিক কোম্পানিতে কর্মরত। একে নিজের জালে ফেলতে প্রায় ছয়টা মাস লেগেছে, এতো সময় লাগে না তার। আজ সে পুরো উসুল করবে এই ভাবতে ভাবতেই ঘরে ঢুকলো তারেখ। লীনা তখন জানলা দিয়ে বাইরের সমুদ্র দেখছিল , পরনে তার স্বচ্ছ রাত পোশাক। পাশে এসে বসে তারেখ চুম্বন শুরু করলো লীনাও তার সাথ দিচ্ছিলো। হঠাৎ করে নিজের ঠোঁটে তীব্র যন্ত্রণা অনুভব করলো আর মুখে রক্তের নোনা স্বাদ। জোর করে লীনার থেকে দূরে যেতে চাইলো কিন্তু শক্তিতে পারলো না। তারপর লীনা নিজেই তাকে ছেড়ে দিলো,তারেখ তখন লীনার দিকে তাকালে আতঙ্কিত হয়ে পড়লো, লীনার ঠোঁটের দুপাশে তখন রক্ত লেগে আছে, তার চোখ দুটো জবাফুলের মতো লাল। ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে চিৎকার করবার আগেই লীনার দাঁত দুটো বসে গেল তার কণ্ঠনালীতে, কিছুক্ষণ পরই সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলো। লীনা পরিতৃপ্ত হয়ে উঠে দাঁড়িয়ে মুখ মুছে ফেললো। তারপর দরজা দিয়ে প্রায় ভেসে বেরিয়ে গেলো নতুন শিকারের সন্ধানে।
Tags:
বাংলা গল্প